/anm-bengali/media/media_files/2025/04/28/n7bMV3cL0trIE1fdhSDG.jpeg)
নিজস্ব সংবাদদাতা: বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রাখা হয়। ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসকদের মতে, তাঁর শারীরিক অবস্থার হঠাৎ আরও অবনতি হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। ৮০ বছর বয়সি খালেদা জিয়া বহুদিন ধরেই নানা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের জটিলতায় ভুগছেন। ২৩ নভেম্বর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
চিকিৎসক এবং মেডিক্যাল বোর্ডের প্রধান কার্ডিয়োলজিস্ট শাহাবুদ্দিন তালুকদার জানান, হঠাৎ তাঁর অক্সিজেন লেভেল কমে যায় এবং শরীরে কার্বন ডাই-অক্সাইড বেড়ে যায়। এতে শ্বাসকষ্ট মারাত্মকভাবে বাড়ে। তাঁর একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ এখনও ‘তীব্র চাপে’ রয়েছে এবং টিমের স্থানীয় ও বিদেশি বিশেষজ্ঞরা ২৪ ঘণ্টা নজরদারি করছেন।
চিকিৎসকরা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথমবার জানিয়েছেন যে খালেদা জিয়ার কিডনি পুরোপুরি কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে। তাঁকে নিয়মিত ডায়ালিসিস ও রক্ত দিতে হচ্ছে। দীর্ঘ জ্বর না কমায় ইকোকার্ডিওগ্রাফি করা হয় এবং সেখানে অর্টিক ভালভে সমস্যা ধরা পড়ে। পরে করা ট্রান্সইসোফেজিয়াল ইকোকার্ডিওগ্রামে নিশ্চিত হয়—তাঁর ইনফেকটিভ এন্ডোকার্ডাইটিস হয়েছে, যা হৃদ্যন্ত্রের ভালভে গুরুতর সংক্রমণ। আন্তর্জাতিক চিকিৎসা নিয়ম মেনে তাঁর চিকিৎসা চলছে।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/12/12/khaleda-xia-2025-12-12-08-49-14.png)
এ ছাড়া ২৭ নভেম্বর তাঁর শরীরে দেখা দেয় তীব্র অগ্ন্যাশয়জনিত প্রদাহ বা অ্যাকিউট প্যানক্রিয়াটাইটিস। এর সঙ্গে লড়াই করাতে আরও শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ দেওয়া হচ্ছে, এবং প্রয়োজনীয় সব ধরনের নিবিড় চিকিৎসা চলছে।
মেডিক্যাল বোর্ড জনগণকে অনুরোধ করেছে, যেন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে কোনও ভুল তথ্য বা গুজব ছড়ানো না হয়। তাঁদের কথা, তাঁরা সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও যত্ন নিয়ে চিকিৎসা দিচ্ছেন।
গুরুতর বুকে সংক্রমণের কারণে তাঁকে আগে থেকেই CCU-তে রাখা হয়েছিল। চিকিৎসকদের অনুমতি নিয়ে গত সপ্তাহে তাঁকে লন্ডনে নেওয়ার কথা থাকলেও কাতার থেকে আসা এয়ার অ্যাম্বুলেন্স সময়মতো পৌঁছয়নি। ফলে বিদেশে স্থানান্তরও আটকে গেছে।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us