আগে জইশকে নির্মূল করতে হবে, কড়া বার্তা বিলাওয়ালকে! সন্ত্রাস নিয়ে গলা তুলতেই উলটে খোঁচা খেল পাকিস্তান

আমেরিকায় প্রতিনিধি দল পাঠিয়ে মুখ পুড়ল পাকিস্তানের।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
bilawal bhutto


নিজস্ব সংবাদদাতা: অপারেশন সিঁদুরের পর ভারতের তরফে বিভিন্ন দেশে সাংসদদের দল পাঠিয়ে সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে নিজেদের শক্ত অবস্থান স্পষ্ট করা হয়েছিল। সেই পথেই হাঁটার চেষ্টা করেছিল পাকিস্তানও। প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির নেতৃত্বে পাকিস্তানের একটি প্রতিনিধি দল যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছায়।

তবে সেখানে গিয়েই উলটে ফেঁসে যায় পাকিস্তান। মার্কিন কংগ্রেসম্যান ব্র্যাড শেরম্যান তাঁদের সাফ বার্তা দেন— পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। বিশেষ করে জইশ-ই-মহম্মদের মতো সংগঠনকে সম্পূর্ণ নির্মূল করতে হবে।

এই জইশ-ই-মহম্মদ ২০০২ সালে সাংবাদিক ড্যানিয়েল পার্লকে হত্যা করেছিল। সেই হত্যায় যুক্ত ছিল আবদুল রউফ আজহার, যে সম্প্রতি ভারতের অপারেশনে খতম হয়েছে। উল্লেখযোগ্য, ড্যানিয়েল পার্ল ছিলেন ব্র্যাড শেরম্যানেরই নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দা।

masood azhar

 ব্র্যাড শেরম্যান বলেন, “পাকিস্তানকে বুঝিয়ে বলেছি, জইশ-ই-মহম্মদকে নির্মূল করা দরকার। ওরা আমার এলাকার একজন নাগরিককে খুন করেছিল। ওঁর পরিবার এখনও এখানেই থাকে। পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষা এবং ডঃ শাকিল আফ্রিদির মুক্তিও জরুরি।”

এই ঘটনা ঘটে যখন শশী থারুরের নেতৃত্বে ভারতের এক প্রতিনিধি দলও তখনই আমেরিকায় ছিল। থারুররা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের কড়া অবস্থান নিয়ে মার্কিন প্রশাসনকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন।

একদিকে বিলাওয়াল ভুট্টো নিউইয়র্কে জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে দেখা করেন, অন্যদিকে ওয়াশিংটনে কাশ্মীর ইস্যু তোলার চেষ্টা করলেও, তার বদলে তাঁকে নিজ দেশের সন্ত্রাসবাদ নিয়ে জবাব দিতে হয়।

পাকিস্তান যে ভারতের অবস্থান অনুকরণ করে আন্তর্জাতিক মঞ্চে মুখ রক্ষা করতে চেয়েছিল, তা শেষ পর্যন্ত উলটেই চাপ বাড়াল তাদের উপর।