কে ধরবে নেপালের হাল? সেনার হস্তক্ষেপে সাময়িক শান্তি, প্রশ্ন রইল নতুন সরকার গঠনে

নেপালের নিয়ন্ত্রণ নিল সেনাবাহিনী, তবে ভবিষ্যতে দেশের সরকার গড়বে কে?

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
breaking new 2

নিজস্ব সংবাদদাতা: প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির পদত্যাগের পর চরম অস্থিরতায় নেপাল। রাজধানী কাঠমান্ডুতে সহিংস বিক্ষোভ ও ভাঙচুর বাড়তে থাকায় সেনাবাহিনী কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং সরকারের প্রধান কার্যালয় সিংহ দরবার।

সেনারা জানিয়েছে, তাদের মূল লক্ষ্য পরিস্থিতি স্থিতিশীল করা এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোকে সুরক্ষিত রাখা। রাজধানীতে দফায় দফায় সহিংসতা চলতে থাকায় বিমানবন্দরে সব ধরনের উড়ান আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।

nepal army

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো নেপালের সঙ্গে টানা যোগাযোগ রাখছে, যাতে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।

নেপালের সেনাবাহিনী একটি পরিষ্কার অ্যাকশন প্ল্যান ঘোষণা করেছে। তাদের প্রথম অগ্রাধিকার হচ্ছে কাঠমান্ডু ও ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোতে আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা। একই সঙ্গে নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ঐতিহাসিক ও জাতীয় স্থাপনা রক্ষা করা, এবং সরকারি ও ব্যক্তিগত সম্পত্তি সুরক্ষিত রাখা।

সেনাপ্রধান জেনারেল অশোক রাজ সিগদেল বারবার আবেদন জানিয়েছেন— “হিংসা বন্ধ করুন, শান্তিপূর্ণ আলোচনার পথে আসুন। সেনা জনগণের সুরক্ষায় কাজ করছে।”

তবে বড় প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে— এই সাময়িক শান্তির পর নেপালে কবে ও কীভাবে নতুন সরকার গঠিত হবে এবং চলমান যুব আন্দোলনের দাবিগুলো আদৌ মানা হবে কি না।