নিজস্ব সংবাদদাতা: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন এ বছর চীনের বিরুদ্ধে বাণিজ্যযুদ্ধ আরও তীব্র করে তুলেছিলেন, তখন বেইজিং ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নতুনভাবে গড়ে তোলার চেষ্টা শুরু করে। একটি ব্লুমবার্গ রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে—চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে ব্যক্তিগত একটি চিঠি পাঠান।
ভারতের এক শীর্ষ সরকারি সূত্রকে উদ্ধৃত করে রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই চিঠির আসল লক্ষ্য ছিল ভারত কতটা সম্পর্ক নতুনভাবে সাজাতে রাজি, তা বোঝা। যদিও চিঠিটি আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রপতি মুর্মুর কাছে গিয়েছিল, খুব দ্রুতই সেই বার্তা পৌঁছে যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে।
চিঠিতে শি জিনপিং স্পষ্টভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে এমন কোনো সমঝোতা হলে যা বেইজিংয়ের স্বার্থের পরিপন্থী হয়, তা মেনে নেওয়া যাবে না। চীনের পক্ষ থেকে একজন প্রাদেশিক নেতার নামও উল্লেখ করা হয়, যিনি ভারত-চীন সম্পর্ক এগিয়ে নিতে বিশেষ ভূমিকা নেবেন বলে জানানো হয়।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/06/22/donald-trump-2025-06-22-09-24-18.jpg)
রিপোর্ট আরও জানায়, জুন মাস থেকে মোদী সরকার এই চীনা বার্তাকে গুরুত্ব দিতে শুরু করে। তখন ভারতের সঙ্গে আমেরিকার বৈঠক চলছিল ট্রাম্পের শুল্ক হুমকি নিয়ে। একই সময় ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, পাহালগাম সন্ত্রাসী হামলার (যেখানে ২৬ জন নিহত হন) পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি করানোর কৃতিত্ব তারই।
ট্রাম্পের চাপ ও শুল্ক নীতির কারণে ক্ষুব্ধ ভারত ও চীন, দুই দেশই একসাথে সিদ্ধান্ত নেয়—২০২০ সালের সীমান্ত সংঘাতের অধ্যায় পেছনে ফেলে এখন পুরনো সীমান্ত-বিতর্ক নিয়ে নতুনভাবে আলোচনার পথে হাঁটতে হবে।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us