/anm-bengali/media/media_files/2025/07/21/gaza-child-death-2025-07-21-00-00-06.jpg)
নিজস্ব সংবাদদাতা: গাজা উপত্যকার একটি হাসপাতালের শীতল পাথরের বিছানায় চিরঘুমে ঢলে পড়লো রাজান আবু জাহের — মাত্র চার বছর বয়সেই জীবন থেমে গেল ক্ষুধা ও অপুষ্টির যন্ত্রণায়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিনের অনাহার ও পুষ্টিহীনতার কারণে মৃত্যু হয়েছে তার।
রাজান ছিল সেই অন্তত ৭৬ শিশুর একজন, যারা অক্টোবর ২০২৩ থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েল-গাজা সংঘাতে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে গেছে — খাবারের অভাবে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এ সময়ের মধ্যে আরও ১০ জন প্রাপ্তবয়স্কেরও মৃত্যু হয়েছে অনাহারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) বরাতে জানা গেছে, ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ মার্চের শুরুতে গাজায় কড়া অবরোধ আরোপ করার পর থেকেই অপুষ্টি ও ক্ষুধাজনিত মৃত্যুর হার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/05/06/8065BwlsbF6ZRSMN9dBr.jpg)
গত তিন দিনের মধ্যেই আরও তিনটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে একই কারণে — এদের মধ্যে সবচেয়ে ছোটটির বয়স ছিল মাত্র তিন মাস। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় শুধু অনাহারে মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের। এই সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে, যা গাজার দুর্দশা আরও ভয়াবহ করে তুলছে।
রাজানের কঙ্কালসার দেহ, নিথর চোখ ও নিস্তব্ধতা যেন পুরো বিশ্বের নীরবতা আর নিষ্ক্রিয়তার প্রতিচ্ছবি। শিশুদের এই মর্মান্তিক মৃত্যু আজ মানবতাকে বড় প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us