/anm-bengali/media/media_files/y9SZ59I8PSFELBlkUKhL.jpg)
নিজস্ব সংবাদদাতা: গুরগাঁওয়ের ডুন্ডাহেরা গ্রামে ঘটে গেল এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। ৩৭ বছর বয়সি বিক্রম নামের এক ব্যক্তিকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। খুনের নেপথ্যে রয়েছে তার স্ত্রী সোনি দেবী, যে স্বামীকে সরিয়ে দিতে প্রেমিক ও আরও তিনজনকে নিয়ে তৈরি করেছিল মারাত্মক ষড়যন্ত্র। পরকীয়া ও প্রতারণার জটিল জালে জড়িয়ে গিয়ে ঘটে যায় এই মর্মান্তিক অপরাধ।
বিক্রম, যিনি বিহারের নওয়াদার বাসিন্দা, স্ত্রী ও কন্যাসন্তানকে নিয়ে গুরগাঁওয়ে বসবাস করতেন। সোনির প্রতিবেশী রবীন্দ্রের সঙ্গে গড়ে ওঠে ঘনিষ্ঠ শারীরিক সম্পর্ক, যা গোপনে ভিডিও করে ফেলে তাদের মেয়ে। মেয়েটি বিষয়টি জানায় তার বাবাকে, অর্থাৎ বিক্রমকে। এই ঘটনার পরেই স্ত্রী ভয়াবহ চক্রান্তের পরিকল্পনা করে। অভিযোগ, নিজের স্বামীকে খুন করে তার দেহ গোপনে লুকিয়ে ফেলে সোনি। এরপর ঘটনার দায় চাপিয়ে দেয় প্রেমিক রবীন্দ্রের ঘাড়ে।
জুলাইয়ের ২৮ তারিখ সোনি গুরগাঁওয়ের এক থানায় স্বামীর নিখোঁজ ডায়েরি করেন। তিন দিন পর তিনি ফের পুলিশের দ্বারস্থ হন এবং রবীন্দ্রর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন। সোনির দাবি, রবীন্দ্র তাঁকে জোর করে শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করে এবং সেই ভিডিও ভাইরাল করার হুমকিও দেয়।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/08/01/love-story-2025-08-01-14-00-31.jpg)
তবে পুলিশি তদন্তে একে একে ফাঁস হয়ে যায় মিথ্যার জাল। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, পুরো খুনের ছক কষে সোনিই ঘটনার মূল ষড়যন্ত্রী। রবীন্দ্র এবং আরও তিনজনকে কাজে লাগিয়ে খুন করে লুকিয়ে রাখা হয় বিক্রমের দেহ। এরপর নাটকীয়ভাবে নিজেই যায় থানায় অভিযোগ জানাতে, যাতে সন্দেহ এড়ানো যায়।
এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে গুরগাঁও পুলিশ। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে সোনি দেবীকে। বাকিদের খোঁজে চলছে তল্লাশি। গোটা ঘটনায় স্তম্ভিত স্থানীয় বাসিন্দারা।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us