দুবাইয়ে তেজস দুর্ঘটনায় বীর শহিদ বিমানের পাইলট নমনশ অশ্রুসজল বিদায়, কফিনের সামনে স্ত্রীর শেষ স্যালুটে কেঁদে উঠল পাহাড়ি গ্রাম

দুবাই এয়ার শোতে তেজস যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনায় শহিদ উইং কম্যান্ডার নমনশ সিয়ালের মরদেহ আনা হল হিমাচলের কাংড়া জেলার পৈতৃক গ্রাম পাটিয়ালকারে। শেষ শ্রদ্ধা জানাতে চোখ ভেজালেন স্ত্রী উইং কম্যান্ডার আফশান।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
crying wife

নিজস্ব সংবাদদাতা: দুবাই এয়ার শোতে ভয়াবহ তেজস বিমান দুর্ঘটনায় শহিদ হন ভারতীয় বায়ুসেনার উইং কম্যান্ডার নমনশ সিয়াল। সেই বীর পাইলটের দেহ দেশ ফিরতেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে হিমাচল প্রদেশের কাংড়া জেলার পৈতৃক গ্রাম পাটিয়ালকারে। রবিবার তাঁর শেষকৃত্যের প্রস্তুতি চলছিল সকাল থেকেই। আর সেই সময়ই ঘটল হৃদয়বিদারক মুহূর্ত—নিজের শহিদ স্বামীর কফিনের সামনে দাঁড়িয়ে শেষ স্যালুট দিলেন স্ত্রী, উইং কম্যান্ডার আফশন। চোখের জলে ভেসে গেলেন তিনি, নীরব হয়ে দাঁড়িয়ে রইল গোটা গ্রাম।

মাত্র ৩৪ বছর বয়সেই থেমে গেল নমনশের পথচলা। স্কুলজীবন থেকেই তিনি ছিলেন অসাধারণ অ্যাথলিট ও দারুণ মেধাবী। পরবর্তীতে হয়ে ওঠেন ভারতীয় বায়ুসেনার অন্যতম দক্ষ ফাইটার পাইলট। রেখে গেলেন স্ত্রী আফশন, যিনি নিজেও বায়ুসেনার অফিসার, তাঁদের ছয় বছরের মেয়ে আর্যা এবং বাবা-মাকে।

গ্রামে দেহ পৌঁছোতেই মানুষজন ছুটে আসলেন সব দিক থেকে। কারও চোখে জল, কেউ আবার স্মৃতিচারণায় ব্যস্ত। সাইনিক স্কুল সুজনপুর টিরার সহপাঠী পঙ্কজ চাড্ডা বলেন, “আমরা আমাদের এক রত্নকে হারালাম। নমনশ ছিল আমাদের স্কুলের গর্ব। পাটিয়ালকারে পৌঁছে তাকে শেষ সম্মান জানাতে আমরা সকলে যাচ্ছি।”

TEJAS PILOT

গ্রামেরই আর এক যুবক, সন্দীপ কুমার, কাঁপা গলায় বলেন, “ও আমাদের ছোট ভাইয়ের মতো ছিল। কয়েক মাস আগেই দেখা হয়েছে। ভাবতেই পারছি না আর কখনও দেখা হবে না। এরকম হওয়া উচিত ছিল না।”

ভারতীয় বায়ুসেনা জানিয়েছে, দুবাই এয়ার শোতে প্রদর্শনী ফ্লাইটের সময় তেজস যুদ্ধবিমানটি হঠাৎই ভেঙে পড়ে আগুন ধরে যায়। সেই দুর্ঘটনাতেই প্রাণ হারান উইং কম্যান্ডার নমনশ সিয়াল।

দেশের আকাশরক্ষায় নিজের প্রাণ বিসর্জন দেওয়া এই বীর পাইলটকে শেষবার স্যালুট জানাতে আজ তাঁর গ্রামে অশ্রুধারা থামছে না।