/anm-bengali/media/media_files/2025/07/28/dharmasthala-2025-07-28-19-13-03.jpg)
নিজস্ব সংবাদদদাতা: ধর্মস্থলা গণকবর কাণ্ডে কর্নাটকে চাঞ্চল্য অব্যাহত। তদন্তের অগ্রগতিতে এবার একাধিক নতুন জায়গার হদিস দিলেন মামলার প্রধান গোপন তথ্যদাতা। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে তিনি জানিয়েছেন, ১৯৯৮ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে বহু নারী ও শিশুর দেহ জ্বালানো ও পুঁতে ফেলার কাজ তাঁকে জোর করে করানো হয়েছিল।
এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (SIT), আর ঘটনাস্থলগুলিকে ঘিরে নজরদারিতে রয়েছে অ্যান্টি-নকশাল ফোর্স (ANF)। ওই প্রাক্তন সাফাইকর্মীর দাবি অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ১৫টি সন্দেহজনক স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে, যেগুলি ওই সময়কালে দাহ ও কবর দেওয়ার কাজে ব্যবহৃত হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2024/10/22/T86EBP0NAwvcdJJjorsJ.jpg)
প্রথম ৮টি জায়গা নেথ্রাবতী নদীর ধারে অবস্থিত। এরপর ৯ থেকে ১২ নম্বর স্থানগুলি নদীর পাশ দিয়ে যাওয়া জাতীয় সড়কের ধারে। ১৩ নম্বর জায়গাটি নেথ্রাবতী থেকে আজুকুরি যাওয়ার রাস্তায়। বাকি দুটি — ১৪ ও ১৫ নম্বর স্থান — কান্যাডি এলাকার কাছে হাইওয়ের ধারে অবস্থিত।
সূত্রের খবর, মঙ্গলুরুর SIT দফতরে টানা দু'দিন ধরে প্রাক্তন সাফাইকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেখানেই তিনি একে একে ওই সব ভয়ঙ্কর ঘটনার বিবরণ দেন। তাঁর দাবি, অধিকাংশ দেহে নির্যাতনের স্পষ্ট চিহ্ন ছিল। এমনকি, অনেক সময় মৃতদের মধ্যে নাবালিকা এবং কিশোরীদেরও থাকতে দেখা যেত।
এই ঘটনাকে ঘিরে কর্নাটকে রাজনীতি তুঙ্গে। অভিযোগ উঠছে, এত বছর ধরে এত বড় ষড়যন্ত্র কীভাবে চুপিসারে চলে গেল — তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে। গণকবরের এই কাণ্ড কি সত্যিই কোনও বৃহত্তর অপরাধচক্রের পর্দা ফাঁস করে দেবে? এখন তাকিয়ে গোটা দেশ SIT–এর পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us