/anm-bengali/media/media_files/2025/02/19/vNbX4KvXiCiBudekiGtD.jpg)
নিজস্ব সংবাদদাতা: দেশজুড়ে SIR বা Special Intensive Revision-এর দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হচ্ছে। মঙ্গলবার থেকেই পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের ১২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এই বিশেষ ভোটার যাচাই অভিযান শুরু হবে, জানালেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার।
তিনি জানিয়েছেন, “আজ রাত ১২টা থেকে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিতে ভোটার তালিকা ফ্রিজ করা হবে।” অর্থাৎ এর পর থেকে আপাতত কোনও নতুন নাম তোলা বা বাদ দেওয়া যাবে না। আগামী ৩ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে ফর্ম ছাপা, BLOদের প্রশিক্ষণ এবং ভোটার তালিকা যাচাইয়ের প্রক্রিয়া।
এই পর্যায়ে নির্বাচন কমিশন ব্যবহার করবে একটি Unique Enumeration Form, যাতে বর্তমান ভোটার তালিকার সমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্য আগেই থাকবে। BLO বা বুথ লেভেল অফিসাররা এই ফর্ম নিয়ে যাবেন প্রতিটি ভোটারের বাড়িতে, এবং সেখানেই হবে তথ্য যাচাই।
কমিশন জানিয়েছে, যেসব ভোটারের নাম ২০০৩ সালের ভোটার তালিকায় ছিল, তাঁদের কোনও অতিরিক্ত নথি জমা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। একইভাবে, যদি কারও বাবা-মায়ের নাম সেই সময়ের ভোটার তালিকায় থাকে, তাহলেও নতুন করে কোনও কাগজ লাগবে না।
CEC জ্ঞানেশ কুমার বলেন, “আমাদের লক্ষ্য স্পষ্ট—নির্ভুল, স্বচ্ছ এবং নির্ভরযোগ্য ভোটার তালিকা তৈরি করা। ভোটাররা নিজেরাই তাঁদের তথ্য মেলাতে পারবেন। ২০০২ থেকে ২০০৪ সালের ভোটার তালিকা দেখা যাবে http://voters.eci.gov.in
ওয়েবসাইটে।”
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/10/27/blo-a-2025-10-27-19-30-32.png)
তবে যাঁদের নাম পুরনো তালিকায় নেই, তাঁদের জন্য প্রয়োজন কিছু নির্দিষ্ট সরকারি নথি। এর মধ্যে রয়েছে জন্ম শংসাপত্র, পাসপোর্ট, শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট, সরকারি কর্মচারীদের পরিচয়পত্র, স্থায়ী বসবাসের সার্টিফিকেট, বন অধিকার শংসাপত্র, জাতি শংসাপত্র, NRC সংক্রান্ত নথি, ফ্যামিলি রেজিস্টার, জমি বা বাড়ির বরাদ্দপত্র এবং আধার কার্ড।
এবারের SIR প্রক্রিয়ায় কমিশনের জোর ডিজিটাল যাচাই ও ক্রস-ম্যাচিংয়ে, যাতে ভুয়ো ভোটার বা পুনরাবৃত্তি এন্ট্রি ধরা পড়ে। কমিশনের মতে, এই পর্যায় সম্পূর্ণ হলে প্রতিটি রাজ্যে ভোটার তালিকার নির্ভুলতা অনেক বেড়ে যাবে।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us