যে কোনও মুহূর্তে ভারতে বড় ধরনের পাক হামলা হতে পারে! আমেরিকার সতর্কবার্তার পরেই বড় সিদ্ধান্ত মোদী সরকারের

পাকিস্তান যে কোনও সময় বড় ধরনের হামলা চালাতে পারে বলে ভারতকে সতর্ক করল আমেরিকা।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
s jaishankar            n

নিজস্ব সংবাদদাতা: সম্প্রতি পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনার আবহে ভারতের অবস্থান ও কূটনৈতিক কৌশল নিয়ে সোমবার সংসদের পরামর্শদাতা কমিটির সদস্যদের বিস্তারিতভাবে অবগত করলেন বিদেশমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর। এই বৈঠকে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, সীমান্তে ভারতের জবাব হবে সমানুপাতিক, “ওরা গুলি চালালে আমরাও চালাবো, ওরা থামলে আমরাও থামব।”

সূত্রের খবর অনুযায়ী, সংসদীয় পরামর্শদাতা কমিটির বৈঠকে জয়শঙ্কর তুলে ধরেন, আন্তর্জাতিক মহলে যারা এই সাম্প্রতিক উত্তেজনা নিয়ে উদ্বিগ্ন, তাঁদের উদ্দেশ্যে ভারতের বার্তা ছিল অত্যন্ত পরিষ্কার ও সরল। কোনওরকম কূটনৈতিক ভাষা বা অস্পষ্টতা ছাড়াই ভারত স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, আত্মরক্ষায় কোনও আপস হবে না।

এই মাসের শুরুতে আন্তর্জাতিক মঞ্চে উত্তেজনা যখন চরমে, তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন নিজে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানান যে, পাকিস্তান ভারতের ওপর বড়সড় হামলার ছক কষছে।

এই তথ্য পাওয়ার পর ভারতের পক্ষ থেকে কূটনৈতিক স্তরে দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানানো হয়। বিশ্বের নানা দেশের রাজধানীতে ভারতীয় দূতাবাসগুলিকে স্পষ্ট করে জানাতে বলা হয় যে, ভারত সংঘর্ষ চায় না, কিন্তু দেশের নিরাপত্তার প্রশ্নে কোনও রকম দুর্বলতা দেখাবে না।

s jaishankarty2.jpg

জয়শঙ্কর বলেন, সরকারের অবস্থান অত্যন্ত পরিপক্ব এবং দৃঢ়। ভারত এই মুহূর্তে বিশ্ব কূটনীতিতে একটি দায়িত্ববান শক্তি হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করছে, কিন্তু সেই সঙ্গে নির্ভুলভাবে জানিয়ে দিচ্ছে—সীমান্তে কোনওরকম আগ্রাসন বরদাস্ত করা হবে না।

সংসদীয় কমিটিতে উপস্থিত একাধিক সদস্য এই অবস্থানকে সমর্থন করেন এবং বলেন, পাকিস্তান বারবার সীমান্তে উত্তেজনা তৈরি করার চেষ্টা করছে, সেই ক্ষেত্রে এমন শক্ত বার্তা দেওয়া সময়ের দাবি।

বিদেশমন্ত্রকের এই পরিস্কার অবস্থানের ফলে আন্তর্জাতিক মহল বুঝতে পারছে, ভারত শুধু প্রতিক্রিয়া নয়, সঠিক পরিকল্পনার সঙ্গেও প্রস্তুত আছে। এক তরফা শান্তির বার্তা নয়, এবার ভারতের বার্তায় আছে জবাবদিহির হুঁশিয়ারি।

এই বৈঠকে দেশের কূটনৈতিক ও সেনা প্রস্তুতি, আন্তর্জাতিক মিত্রদের সঙ্গে যোগাযোগ, এবং সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়। তবে সবচেয়ে বেশি চর্চায় উঠে এসেছে জয়শঙ্করের সেই একবাক্যের বার্তা—“They fire, we fire. They stop, we stop.”