“বেআইনি বিদেশি ফান্ডিং”— ব্রিটিশ নাগরিকের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ

উত্তরপ্রদেশে ব্রিটিশ নাগরিক শামসুল হুদা খানের বিরুদ্ধে বিদেশি ফান্ড সংগ্রহ ও পাকিস্তান-কাশ্মীর সংযোগের অভিযোগ। দুই এনজিওর মাধ্যমে মাদ্রাসায় টাকা পাঠানোর অভিযোগে মামলা। ATS তদন্তে উঠে এল নানা তথ্য।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
police

নিজস্ব সংবাদদাতা: উত্তরপ্রদেশে বিদেশি ফান্ড সংগ্রহ ও দেশে ইসলামিক কার্যকলাপের নামে অর্থ চ্যানেল করার অভিযোগে এক ব্রিটিশ নাগরিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করল পুলিশ। অভিযুক্তের নাম শামসুল হুদা খান। প্রশাসনের দাবি, তিনি বিদেশি সংগঠন ও ব্যক্তিদের কাছ থেকে অর্থ তুলে ভারতের মাদ্রাসাগুলিতে পাঠাতেন এবং তার বিনিময়ে কমিশন নিতেন।

জেলা সংখ্যালঘু কল্যাণ আধিকারিকের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে রোববার রাতে এফআইআর দাখিল হয়। কোতয়ালি থানার পুলিশ জানিয়েছে, বিদেশি মুদ্রা আইন এবং ভারতীয় ন্যায় সনহিতার ১৩ ও ৩১৮(৪) ধারায় মামলা হয়েছে।

ATS তদন্তে উঠে এসেছে আরেক বিস্ফোরক দাবি— অভিযুক্ত নাকি পাকিস্তান ও জম্মু-কাশ্মীরের কিছু চরমপন্থী গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ করছিলেন। তিনি কুলাইয়াতুল বানাতির রাজভিয়া এডুকেশনাল অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার সোসাইটি এবং রাজা ফাউন্ডেশন নামে দুটি এনজিও তৈরি করেছিলেন বিদেশি অর্থের রাস্তা খুলতে।

Police

পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, সন্তকবীর নগরের বাসিন্দা শামসুল ২০০৭ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত কোনও সরকারি অনুমতি ছাড়াই যুক্তরাজ্যে বসবাস করেন এবং ২০১৩ সালে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব নেন।

প্রশাসনের দাবি, ইসলামিক শিক্ষার নাম করে তহবিল সংগ্রহ হলেও তা শেষ পর্যন্ত কোন কোন মাদ্রাসা বা সংগঠনের কাছে পৌঁছত, কারা উপকৃত হত— তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তে আরও অনেক নাম সামনে আসতে পারে বলে অনুমান।

এই ঘটনায় এখন উত্তপ্ত রাজনীতি ও প্রশাসনিক মহল। প্রশ্ন উঠছে, দেশের মাটিতে বসে এমন জাল ফান্ডিং নেটওয়ার্ক কীভাবে চলছিল? এবং বিদেশি নাগরিকত্ব নেওয়ার পরও শামসুলের ভারতীয় সংযোগ এত শক্তিশালী কীভাবে বজায় ছিল?

পরবর্তী তদন্তই জানাবে, এই অভিযোগের পেছনে ঠিক কতটা বাস্তবতা রয়েছে এবং আদৌ কোনও বৃহত্তর নেটওয়ার্ক সক্রিয় ছিল কি না।