/anm-bengali/media/media_files/2025/07/05/uddhav-and-raj-again-2025-07-05-13-42-10.jpg)
নিজস্ব সংবাদদাতা: মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকল রাজ্যবাসী। দুই তেকাঠি ঠাকরে, দীর্ঘদিনের দূরত্ব ভুলে, এক মঞ্চে। শনিবার ‘আওয়াজ মরাঠিচা’ নামে আয়োজিত এক বিরাট জনসভায় একত্রিত হলেন রাজ ঠাকরে ও উদ্ধব ঠাকরে। এই মিলন শুধু প্রতীকী নয়, রাজনৈতিকভাবে একটি শক্তিশালী বার্তা—মরাঠি ভাষা ও সংস্কৃতির স্বার্থে এখন একসুরে কথা বলছেন দুই ঠাকরে।
এই বিরল দৃশ্যের জন্ম দিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকারের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত বদল। হিন্দিকে তৃতীয় ভাষা হিসেবে চাপিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা সরকার স্থগিত করতে বাধ্য হয়, রাজ ও উদ্ধবের জোরালো বিরোধিতার মুখে। এই জয়কেই মরাঠি আত্মসম্মানের জয় বলে তুলে ধরেছেন নেতারা।
সমাবেশে রাজ ঠাকরে স্পষ্ট করে বলেন, "যেটা বালাসাহেব ঠাকরে করতে পারেননি, সেটাই করে দেখালেন দেবেন্দ্র ফডণবীস—আমায় আর উদ্ধবকে এক করলেন!" এই বক্তব্যে স্পষ্ট, এই সংহতি শুধু ভাষা রক্ষায় নয়, আসন্ন পুরভোট ও রাজ্য রাজনীতিতে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে চলেছে।
উদ্ধব ঠাকরে আরও বলেন, “রাজ ঠাকরে ও আমি মিলে মুম্বই কর্পোরেশন এবং গোটা মহারাষ্ট্র দখল করব।” দুই নেতার এই আত্মবিশ্বাস এবং জনতার বিপুল সমাগম রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে উত্তাল করে তুলেছে।
ওরলি-র NSCI ডোমে অনুষ্ঠিত এই জনসভায় হাজার হাজার মানুষ ভিড় করেন। ছিলেন সাহিত্যিক, শিল্পী, শিক্ষক, সম্পাদক, শিক্ষানুরাগী এবং বিপুল সংখ্যক মরাঠি তরুণ-তরুণী। এমন জমায়েত বহুদিন পর দেখেছে মহারাষ্ট্র।
এই দৃশ্য রাজনৈতিক মহলে নতুন জোটের ইঙ্গিত বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে। মরাঠি মান, মর্যাদা ও ভাষার প্রশ্নে এক ছাতার তলায় ঠাকরে-দ্বয় যে শুধু অতীত ভুলেছেন তা নয়, বরং ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে বড়সড় কিছু পদক্ষেপের বার্তা দিয়ে গেলেন।