/anm-bengali/media/media_files/2025/07/05/uddhav-and-raj-2025-07-05-11-40-14.jpg)
নিজস্ব সংবাদদাতা: মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক মঞ্চে এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে চলেছে রাজ্যবাসী। দুই দশক ধরে একে অপরের থেকে দূরে থাকা ঠাকরে পরিবারের দুই সদস্য — রাজ ঠাকরে ও উদ্ধব ঠাকরে — অবশেষে একই মঞ্চে দেখা করতে চলেছেন।
এই পুনর্মিলনের মূল সূত্রপাত ঘটে মহারাষ্ট্র সরকারের প্রস্তাবিত তিন-ভাষার ফর্মুলার বিরোধিতা ঘিরে। রাজ্য সরকার ওই নীতি চালু করতে চাইলে, রাজ ও উদ্ধব — দু’জনেই তীব্র প্রতিবাদে সরব হন। তাঁদের প্রতিবাদের ফলেই শেষ পর্যন্ত মহারাষ্ট্রের মহাযুতি সরকার এই নীতিকে স্থগিত রাখতে বাধ্য হয়। এই ঘটনার মধ্য দিয়েই ঠাকরে পরিবারের দুই ভাগের মধ্যে দীর্ঘদিন পর একতা গড়ে ওঠে।
এখন সেই ‘মরাঠি একতার জয়’ উদ্যাপন করতেই আয়োজন করা হয়েছে এই বিশেষ জনসভার। রাজ ও উদ্ধব ছাড়াও এই মঞ্চে উপস্থিত থাকবেন শিব সেনা (উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠী) এবং মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার শীর্ষ নেতৃত্বরা। উপস্থিত থাকবেন মরাঠি ভাষা ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ — সাহিত্যিক, কবি, শিল্পী, সাংবাদিক এবং শিক্ষাবিদদের মতো বহু বিশিষ্টজন।
অনুষ্ঠান ঘিরে মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তুঙ্গে। অনেকেই মনে করছেন, এই একতার ভিতরে লুকিয়ে থাকতে পারে ভবিষ্যতের নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ। রাজ ও উদ্ধবের এই যুগলবন্দি কেবল মরাঠি ভাষার স্বার্থেই নয়, আগামী নির্বাচনে বিরোধী শিবিরে বড়সড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিতেও পারে।
এই মঞ্চে দুই ঠাকরে কেবল অতীতের ভুল বুঝিকে সরিয়ে রেখে এক হবেন না, বরং মরাঠি ভাষার মর্যাদা ও অস্তিত্ব রক্ষার বার্তাও দেবেন — এমনটাই আশা করা হচ্ছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের তরফে।
বর্তমানে মহারাষ্ট্রের ক্ষমতায় থাকা মহायुতি জোটের ওপর এই পুনর্মিলনের কী প্রভাব পড়ে, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তীব্র কৌতূহল তৈরি হয়েছে। আবারও কি এক নতুন রাজনৈতিক অধ্যায়ের সূচনা হতে চলেছে মহারাষ্ট্রে — এই প্রশ্ন এখন গোটা রাজ্য জুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।