/anm-bengali/media/media_files/2025/07/01/tamil-nadu-s-2025-07-01-07-48-42.jpg)
নিজস্ব সংবাদদাতা: তামিলনাড়ুর ২৭ বছর বয়সী এক তরুণী ঋতন্যা তার স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজনের অকথ্য নির্যাতনে শেষ পর্যন্ত জীবনের সঙ্গে লড়াই হেরে গেলেন। বিয়ের মাত্র দুই মাসের মাথায় বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। মৃত্যুর আগে বাবাকে পাঠানো ৭টি ভয়েস মেসেজে উঠে আসে শিউরে ওঠার মতো সব তথ্য। একটিতে তিনি বলেন, “আমি ওর সঙ্গে আর থাকতে পারছি না… ও আর ওর পরিবার আমার জীবন শেষ করে দিয়েছে।”
ঘটনাটি ঘটে তামিলনাড়ুর তিরুপুর জেলার একটি সড়কে। ঋতন্যার মৃতদেহ উদ্ধার হয় তার ব্যক্তিগত গাড়ির ভেতর থেকে। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, আত্মহত্যার ঠিক আগে বিষ খেয়েছিলেন তিনি। মৃত্যুর পরদিনই তাঁর বাবা আরজি অন্নাদুরাই (৫৩) থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
ঋতন্যা চলতি বছরের এপ্রিল মাসে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন কাবিন কুমার (২৭) নামের এক যুবকের সঙ্গে। বিয়ের পর থেকেই শারীরিক ও মানসিকভাবে অত্যাচার চলছিল বলে অভিযোগ। ভয়েস মেসেজে তিনি আরও বলেন, “ওরা সবাই অপরাধী। আমাকে শেষ করে দেওয়ার প্ল্যান ছিল ওদের। আমার আর কিছুই বাকি নেই।”
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/y9SZ59I8PSFELBlkUKhL.jpg)
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ কাবিন কুমার ও তাঁর মা চিত্রাদেবীকে (৪৭) গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, পণ নিয়ে অবিরাম চাপে রাখা হয়েছিল ঋতন্যাকে। সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যাওয়ার পরেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
এই ঘটনা গোটা রাজ্যজুড়ে নড়েচড়ে বসিয়েছে প্রশাসনকে। আবারও সামনে এল নারী নির্যাতনের নির্মম রূপ।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us