/anm-bengali/media/media_files/2025/01/31/wNe7d9MckOzr0M2nneQa.jpeg)
ফাইল চিত্র
নিজস্ব সংবাদদাতা: ভারতের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে ছাত্রছাত্রীদের আত্মহত্যার ক্রমবর্ধমান ঘটনা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট এক যুগান্তকারী নির্দেশিকা জারি করেছে। দেশের সমস্ত স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, কোচিং সেন্টার, প্রশিক্ষণ একাডেমি এবং হোস্টেলকে অন্তর্ভুক্ত করে আদালত মোট ১৫টি নির্দেশনা প্রকাশ করেছে, যা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিকে বাধ্যতামূলকভাবে মানতে হবে।
আদালতের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, অতিরিক্ত পড়াশোনার চাপ, পরীক্ষার মানসিক বোঝা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির পক্ষ থেকে মানসিক সহায়তার অভাবের কারণেই বহু ছাত্রছাত্রী আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন। এই পরিস্থিতি রুখতেই সুপ্রিম কোর্ট বাধ্যতামূলক মানসিক স্বাস্থ্য পরামর্শ, কার্যকর অভিযোগ নিষ্পত্তি ব্যবস্থা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির ওপর যথাযথ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার নির্দেশ দিয়েছে।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরীক্ষার সময় এবং একাডেমিক ট্রানজিশনের সময় ছাত্রদের জন্য ছোট ছোট দলে একজন করে নির্দিষ্ট মেন্টর বা কাউন্সেলর নিযুক্ত করতে হবে। এই পরামর্শদাতারা নিয়মিত, অপ্রাতিষ্ঠানিক ও গোপনীয় মানসিক সহায়তা দেবেন।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/02/13/qx1Ew5zP7ESSqQP67G34.jpg)
শুধু ছাত্রদের জন্য নয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীদের জন্যও প্রতি বছরে অন্তত দু'বার মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বাধ্যতামূলক প্রশিক্ষণ নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই প্রশিক্ষণ পরিচালনা করবেন প্রশিক্ষিত মানসিক স্বাস্থ্য পেশাদাররা। প্রশিক্ষণে থাকছে – সাইকোলজিক্যাল ফার্স্ট এইড, মানসিক সংকটের লক্ষণ চেনা, আত্মহানির প্রবণতা বুঝে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া এবং প্রয়োজনে সঠিক রেফারেল প্রক্রিয়া গ্রহণ।
সুপ্রিম কোর্টের এই উদ্যোগ শুধু শিক্ষার্থীদের মানসিক সুস্থতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই নয়, বরং গোটা শিক্ষা ব্যবস্থার দৃষ্টিভঙ্গির আমূল পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us