জঙ্গিমডিউল ভাঙার পর উদ্ধার বিস্ফোরকই কি মারল পুলিশকে? কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের বিবৃতিতে চাঞ্চল্য

শ্রীনগরের নওগাম থানায় মাঝরাতে মারণ বিস্ফোরণে ৯ জনের মৃত্যু। ৩২ জন আহত। বিস্ফোরক সিল করার সময়ই দুর্ঘটনা, জানাল হোম মন্ত্রক। তদন্ত চলছে।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
home ministry


নিজস্ব সংবাদদাতা: কাশ্মীরের নওগাম থানায় মাঝরাতে ঘটে যাওয়া ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে সরকারি ব্যাখ্যা প্রকাশ করা হয়েছে। হোম মন্ত্রকের জয়েন্ট সেক্রেটারি (জম্মু–কাশ্মীর বিভাগ) প্রকাশ লোকহান্ডে জানিয়েছেন, ১৪ নভেম্বর রাত ঠিক ১১টা ২০ মিনিটে থানা চত্বরে একটি ভয়াবহ ‘দুর্ঘটনাজনিত’ বিস্ফোরণ ঘটে। সেই বিস্ফোরণে নয় জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আহত হয়েছেন মোট ৩২ জন। আহতদের মধ্যে রয়েছেন ২৭ জন পুলিশ সদস্য, ২ জন রাজস্ব দফতরের কর্মী এবং ৩ জন সাধারণ মানুষ। ঘটনাস্থলেই শুরু হয় তীব্র উদ্ধারকাজ, আহতদের রাতেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

লোকহান্ডে জানিয়েছেন, ফারিদাবাদের একটি সন্ত্রাস মডিউল ভেঙে ফেলার তদন্ত চলছিল নওগাম পুলিশ স্টেশনের মাধ্যমে। মামলার এফআইআর ১৬২/২০২৫ অনুযায়ী, প্রচুর পরিমাণ বিস্ফোরক রাসায়নিক ও উপাদান উদ্ধার করা হয়েছিল। উদ্ধারকৃত বিস্ফোরকগুলো থানার খোলা জায়গায় নিরাপদে রাখা হয় এবং ফরেনসিকে পাঠানোর জন্য স্ট্যান্ডার্ড ও বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া অনুযায়ী সেগুলো দু’দিন ধরে সিল ও প্রস্তুত করা হচ্ছিল। বিস্ফোরকগুলো অতি সংবেদনশীল এবং অস্থির প্রকৃতির হওয়ায় বিশেষজ্ঞদের উপস্থিতিতে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে সেগুলো হ্যান্ডল করা হচ্ছিল।

তবে সেই সতর্কতা সত্ত্বেও শেষরাতে ঘটে যায় ভয়ংকর দুর্ঘটনা। বিস্ফোরণের শব্দে এলাকা কেঁপে ওঠে। থানার পুরো ভবন ভেঙে পড়ে এবং আশপাশে থাকা একাধিক গাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ধ্বংসযজ্ঞ এতটাই চরম ছিল যে পুলিশ স্টেশনের চত্বরে থাকা কাঠামোগুলো সম্পূর্ণ গুঁড়িয়ে যায়। উদ্ধারকারীরা রাতভর কাজ চালিয়ে যান।

srinagar blast

সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিস্ফোরণের সঠিক কারণ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে এই মুহূর্তে কোনও বিকল্প তত্ত্ব বা অনুমান ছড়ানোকে অযথা বলে উল্লেখ করেছে হোম মন্ত্রক। সরকারের বক্তব্য, “এটি একটি দুর্ভাগ্যজনক দুর্ঘটনা। যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের পরিবারের পাশে রয়েছে সরকার।”

মর্মান্তিক এই বিস্ফোরণে নিহতদের পরিবার, আহতদের চিকিৎসা, এবং ভবিষ্যতে এমন সংবেদনশীল বিস্ফোরক হ্যান্ডলিংয়ে আরও কী পরিবর্তন আনা উচিত—এসব নিয়ে এখনই আলোচনা শুরু হয়ে গেছে প্রশাসনিক মহলে। নওগামে রাতের সেই ট্র্যাজেডি এখনও আতঙ্ক আর শোক ছড়াচ্ছে পুরো উপত্যকায়।