/anm-bengali/media/media_files/2025/11/12/imam-2025-11-12-09-08-31.png)
নিজস্ব সংবাদদাতা: দিল্লির লালকেল্লা বিস্ফোরণ ও ফারিদাবাদের বিস্ফোরক জব্দের মামলায় এক বড় মোড়। জম্মু-কাশ্মীরের শোপিয়ান জেলার এক ইমাম ইরফান আহমেদ ওয়াগাহকে গ্রেপ্তার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ভোরে তাঁর নওগাঁওয়ের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাঁকে এবং তাঁর স্ত্রীকে আটক করে কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স কাশ্মীর (CIK) ও শ্রীনগর পুলিশ।
সূত্র অনুযায়ী, ইরফান ওয়াগাহ দীর্ঘদিন ধরে উপত্যকার বেশ কিছু শিক্ষিত তরুণকে ধর্মীয় উগ্রপন্থার পথে প্ররোচিত করছিলেন। এমনকি চিকিৎসক, অধ্যাপক ও পেশাদার শ্রেণির কয়েকজনকেও তিনি গোপনে জঙ্গি সংগঠনগুলির সঙ্গে যুক্ত করার চেষ্টা করছিলেন বলে অভিযোগ। তদন্তকারীদের দাবি, ফারিদাবাদে আটক হওয়া কয়েকজন কাশ্মীরি ডাক্তারের সঙ্গে তাঁর সরাসরি যোগাযোগ ছিল।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/11/10/delhi-blast-2025-11-10-19-41-29.png)
এই গ্রেপ্তারকে গোয়েন্দারা “বড় সাফল্য” হিসেবে দেখছেন। তাঁরা মনে করছেন, লালকেল্লা বিস্ফোরণের পেছনে যে শিক্ষিত সন্ত্রাস নেটওয়ার্ক কাজ করছিল, ইরফান তার অন্যতম মূল কারিগর। পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, “তিনি শুধু ধর্মীয় নেতা নন, বরং এক বিপজ্জনক মতাদর্শ ছড়ানোর কেন্দ্রবিন্দু।”
দিল্লি থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত একাধিক রাজ্যে জঙ্গি ঘাঁটির যোগসূত্র এখন স্পষ্ট হচ্ছে। তদন্তকারীরা বলছেন, এই নেটওয়ার্কের মূল লক্ষ্য ছিল “বুদ্ধিজীবীদের ব্যবহার করে নাশকতা চালানো”— যাতে সন্ত্রাসের চেহারা হয় আরও জটিল ও ছদ্মবেশী।
বর্তমানে ইরফানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং তাঁর মোবাইল, ল্যাপটপসহ একাধিক ডিজিটাল ডিভাইস বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। গোয়েন্দারা খতিয়ে দেখছেন, তিনি বিদেশি অর্থায়নের সঙ্গে যুক্ত কি না।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us