বিজেপি নেতার প্রশংসায় কংগ্রেসে অস্বস্তি! আদবানির ‘সার্ভিস’ নিয়ে থারুরের টুইটে তোলপাড় দেশজুড়ে

শশী থারুরের আদবানির প্রশংসায় তোলপাড় রাজনীতি! কংগ্রেস বলল— “ও নিজের মত বলেছেন।” রামরথ যাত্রা থেকে নেহরু-ইন্দিরা পর্যন্ত তুলনা টেনে শশী থারুরের মন্তব্যে চাঞ্চল্য। বিজেপি-কংগ্রেসে চলছে পাল্টা প্রতিক্রিয়া।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
shashi

নিজস্ব সংবাদদাতা: রাজনীতিতে ফের নতুন ঝড়। কংগ্রেস নেতা শশী থারুর বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা লালকৃষ্ণ আদবানির ৯৮তম জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রশংসা করায় শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। কংগ্রেস এখন বলছে, “থারুর তাঁর নিজের মতামত জানিয়েছেন, দল নয়।”

রবিবার আদবানির জন্মদিনে টুইট করে থারুর লেখেন, “আদবানিজি-র রাজনৈতিক জীবনকে একটি ঘটনার মাধ্যমে বিচার করা অন্যায়। তাঁর জনসেবার অঙ্গীকার, বিনয় এবং আধুনিক ভারতের রাজনীতিতে তাঁর ভূমিকা স্মরণীয়।”

এই বক্তব্যের পরই রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় পড়ে যায়। অনেকেই অভিযোগ করেন, থারুর আসলে আদবানির বিতর্কিত ইতিহাসকে ধুয়ে-মুছে ‘নরম’ করে দেখাচ্ছেন। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সঞ্জয় হেগড়ে টুইট করে লেখেন, “যিনি ঘৃণার বীজ বপন করেছিলেন, তাঁকে জনসেবক বলা যায় না।” তিনি সরাসরি ১৯৯০ সালের রামরথ যাত্রার প্রসঙ্গ টেনে আনেন, যা সেই সময় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বাড়িয়েছিল বলে অভিযোগ।

সমালোচনার মুখে থারুর আরও স্পষ্টভাবে বলেন, “কারও দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনকে শুধুমাত্র একটি পর্ব দিয়ে বিচার করা অন্যায়। যেমন নেহরুজির জীবনকে চীন যুদ্ধের পরাজয় দিয়ে বিচার করা যায় না, বা ইন্দিরাজিকে শুধু জরুরি অবস্থার কারণে দোষ দেওয়া যায় না, তেমনই আদবানিজিকেও একটি ঘটনার জন্যই চিহ্নিত করা ঠিক নয়।”

তবে এই মন্তব্যে অস্বস্তিতে পড়ে কংগ্রেস। দলের মিডিয়া সেল প্রধান পবন খেরা স্পষ্ট জানান, “ড. শশী থারুর তাঁর ব্যক্তিগত মতামত জানিয়েছেন। কংগ্রেস দল তাঁর এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত নয়। তবে তিনি একজন সাংসদ ও ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য হয়েও নিজের মতামত প্রকাশ করতে পারেন— এটাই কংগ্রেসের গণতান্ত্রিক ও উদার মানসিকতার পরিচায়ক।”

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, থারুরের মন্তব্য কংগ্রেসের ভাবমূর্তিতে নতুন বিভাজনের ইঙ্গিত দিয়েছে। বিজেপি নেতারা যেখানে তাঁকে ‘অবশেষে সত্য কথা বলা কংগ্রেসি’ বলে প্রশংসা করছেন, কংগ্রেসের ভেতরে চলছে ক্ষোভের স্রোত।

এই বিতর্কে এখন নতুন প্রশ্ন উঠেছে— থারুর কি নিজের রাজনৈতিক অবস্থানকে নতুনভাবে প্রতিষ্ঠা করছেন? নাকি আদবানির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আবারও দলীয় সীমারেখা অতিক্রম করলেন তিনি?