এই কি শিক্ষা দানের পথ? ছাত্রীর মৃত্যুতে উঠে এলো ক্যাম্পাসে ‘অপমানের সংস্কৃতি’র কাহিনি

শারদা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২১ বছরের ছাত্রীর আত্মহত্যা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
student suicide

নিজস্ব সংবাদদাতা: গ্রেটার নয়ডার শারদা বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় বর্ষের এক বিএসডিএস (ব্যাচেলর অফ ডেন্টাল সার্জারি) পড়ুয়া আত্মহত্যা করায় পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। মাত্র ২১ বছর বয়সে ওই ছাত্রীর অকালমৃত্যুতে তাঁর পরিবার, বন্ধু ও সহপাঠীরা রীতিমতো ভেঙে পড়েছেন।

সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলের ঘর থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। জ্ঞান পার্ক থানার অধীনস্থ এই ঘটনাটি তদন্তের আওতায় এনে পুলিশ জানিয়েছে, ছাত্রীটি একটি সুইসাইড নোট রেখে গিয়েছেন যেখানে তিনি সরাসরি কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ এনেছেন।

সুইসাইড নোটে মৃতা ছাত্রী লিখেছেন, পিসিপি ও ডেন্টাল ম্যাটেরিয়ালস বিষয় পড়ানো শিক্ষকেরা তাঁকে নিয়মিত মানসিকভাবে হেনস্থা ও অপমান করতেন। তাঁদের তীব্র অপমান ও মানসিক চাপে পড়ে তিনি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন। তিনি স্পষ্টভাবে লিখে গিয়েছেন—“আমার মৃত্যুর জন্য ওনারাই দায়ী। আমি চাই, আমার মৃত্যুর পর তাঁদের শাস্তি হোক।”

dead

এই ঘটনার পরে সহপাঠীদের অনেকেই সামনে এসে বলছেন, এই ধরনের ব্যক্তিগত অপমান ও মানসিক চাপে রাখা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সাধারণ ঘটনা’। অনেক শিক্ষার্থীই নাকি নীরবে এসব সহ্য করে যান, কিন্তু কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পান না।

এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এখনও পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনও বিস্তারিত বিবৃতি দেওয়া হয়নি, তবে শিক্ষার্থী ও তাঁদের পরিবার শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের দাবি জানাচ্ছেন।

এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে এবং ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।