শাহ বানুর পরিবারের মামলা! আটকে যেতে পারে 'হক' ছবির মুক্তি

শাহ বানুর উত্তরাধিকারীদের মামলা, ‘হক’ ছবির মুক্তি আটকে যেতে পারে। ইয়ামি গৌতম–ইমরান হাশমির ছবি নিয়ে আদালতে বিতর্ক। শরিয়ত আইন ও ব্যক্তিগত জীবনের চিত্রণে আপত্তি পরিবারের।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
shah banu original

নিজস্ব সংবাদদাতা: শাহ বানুর নাম আবারও শিরোনামে। এবার সিনেমাকে ঘিরে তুমুল বিতর্ক। ইয়ামি গৌতম ও ইমরান হাশমি অভিনীত ছবির নাম ‘হক’। আগামী ৭ নভেম্বর মুক্তির কথা। কিন্তু তার আগেই ঝড় উঠল আদালতে। শাহ বানো বেগমের আইনসঙ্গত উত্তরাধিকারীরা ইন্দোর হাইকোর্টে আবেদন করেছেন—ছবির মুক্তি যেন তৎক্ষণাত স্থগিত করা হয়। তাঁদের দাবি, এই ছবিতে মুসলিম সমাজের ভাবাবেগ আহত হয়েছে এবং শরিয়ত আইনের চিত্রণ করা হয়েছে মহিলাদের স্বার্থবিরোধীভাবে। এছাড়া ছবির নির্মাতারা নাকি তাঁদের কাছ থেকে কোনও অনুমতি নেননি শাহ বানো-র ব্যক্তিগত জীবন দেখানোর জন্য।

আইনজীবী তৌসিফ ওয়ারসি আদালতে জানান—শাহ বানুর ব্যক্তিগত জীবন ও ঘটনার যে উপস্থাপন ছবিতে করা হয়েছে, তা পরিবার জানেই না। কীভাবে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে, কতটা সত্যি, কতটা কল্পনা—তা পরিষ্কার হওয়া দরকার। তাই প্রথমে ছবির কাহিনি ও থিম তাঁদের দেখতে দেওয়া হোক বলে দাবি পরিবারের। এর মধ্যেই জানা গিয়েছে, ছবির নির্মাতাদের হয়ে সওয়াল করছেন হিতেশ জৈন ও তিনজন আইনজীবীর দল। মামলাটি শীঘ্রই শুনানিতে উঠবে।

shah banu

আগেই জানা গিয়েছিল, শাহ বানুর আইনজীবীদের তরফে নির্মাতাদের একটি নোটিস পাঠানো হয়েছে, যেখানে অভিযোগ করা হয়েছে—অনুমতি ছাড়া ব্যক্তিগত জীবন তুলে ধরা, মানহানি ও পাবলিসিটি রাইটস লঙ্ঘন। ইতিমধ্যেই ছবির ট্রেলার দেখে উৎসাহিত দর্শকরা। তবে আদালতের রায়ের দিকে এখন তাকিয়ে সবাই। নির্মাতাদের দাবি, ‘হক’ শুধু ব্যক্তিগত সম্পর্কের গল্প নয়—এটি আদালতের লড়াইয়ের মাধ্যমে ইউনিফর্ম সিভিল কোডের মতো সংবেদনশীল বিষয়ও সামনে আনে। প্রেম থেকে আদালত, ব্যক্তিগত থেকে সামাজিক—চলচ্চিত্রটি যেন বিতর্কের কেন্দ্রেই দাঁড়িয়ে।