/anm-bengali/media/media_files/2025/11/09/indian-doctor-detained-2025-11-09-22-11-11.png)
নিজস্ব সংবাদদাতা: রাশিয়ায় আটক হয়েছেন তামিলনাড়ুর তিরুভাল্লুর জেলার এক তরুণ চিকিৎসক। তাঁর স্ত্রী অভিযোগ করেছেন, রুশ কর্তৃপক্ষ তাঁকে বিনা কারণে নির্যাতন করেছে ও অমানবিকভাবে আচরণ করেছে। আটক চিকিৎসকের নাম ড. কে. জগদীশ্বরন, যিনি ২০২২ সালে আর্মেনিয়ার এক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিকিৎসা বিজ্ঞানে স্নাতক হন।
স্ত্রী ইয়ামিনী জানিয়েছেন, তাঁরা আর্মেনিয়ায় একসঙ্গে থাকতেন এবং কয়েক মাস আগে তাঁদের শিশুকন্যাকে নিয়ে ভারতে পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আসেন। সেই সময় জগদীশ্বরনের এক বন্ধু, শেখর মনিকন্দন, যিনি রাশিয়ায় একটি শিক্ষা পরামর্শ সংস্থা চালান, তাঁকে অনুরোধ করেন রাশিয়ায় যেতে। কারণ, জগদীশ্বরন রুশ ভাষায় সাবলীলভাবে কথা বলতে পারেন।
পর্যটক ভিসায় দু’জনে রওনা দেন রাশিয়ার সোচির উদ্দেশ্যে। কিন্তু ১৬ সেপ্টেম্বর সোচি বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পরই তাঁদের আটক করে ইমিগ্রেশন আধিকারিকরা। শেখরকে এক সপ্তাহ পর ছেড়ে ভারতে ফেরত পাঠানো হলেও, জগদীশ্বরনকে আর ছাড়া হয়নি।
স্ত্রীর দাবি, “রুশ কর্তৃপক্ষ বলেছে আমার স্বামী তাঁদের সঙ্গে সহযোগিতা করেননি, তাই আটক করা হয়েছে। কিন্তু এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা।” তিনি আরও জানান, “আমার স্বামীকে মারধর করা হয়েছে, অপমান করা হয়েছে, সঠিক খাবারও দেওয়া হয়নি। এর ফলে ওর শরীর ভীষণ খারাপ হয়ে যায়, রক্তে শর্করার মাত্রা নেমে গিয়েছিল মাত্র ১ শতাংশে।”
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/08/16/arrested-123-2025-08-16-14-44-43.jpg)
অবশেষে এক মহিলা আইনজীবীর সাহায্যে জগদীশ্বরনকে মুক্তি দেওয়া হয়। কিন্তু হাতে তুলে দেওয়া হয় শুধুমাত্র তাঁর পাসপোর্ট—অন্য কোনও নথি নয়। ফলে তিনি এখনও রাশিয়া ছেড়ে ফিরতে পারছেন না।
স্ত্রী ইয়ামিনীর অভিযোগ, “রাশিয়ান কর্তৃপক্ষ এখনও কোনও সঠিক ব্যাখ্যা দেয়নি কেন আমার স্বামীকে আটক করা হয়েছিল। তিনি নির্দোষ, তবু তাঁকে এতদিন বন্দি করে রাখা হয়েছে।”
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তামিলনাড়ু এবং কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সাহায্যের আবেদন করেছেন চিকিৎসকের পরিবার। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us