১১ পাতার চিঠি ফাঁস—“আমি টাকা দিলাম, কিন্তু কিছুই পেলাম না”! শিল্পপতির বিরুদ্ধে পুনরায় তদন্তের নির্দেশ

২০১৭ সালের আত্মহত্যার ঘটনায় শিল্পপতির বিরুদ্ধে পুনরায় তদন্তের নির্দেশ।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
court

নিজস্ব সংবাদদাতা: পুনের খেদ রাজগুরুনগরের অতিরিক্ত সেশন আদালত ২০১৭ সালের আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলায় পুনরায় তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে। এই মামলায় অভিযুক্ত শিল্পপতি অমিত কল্যাণী, যিনি ভারত ফোর্জের ভাইস চেয়ারম্যান এবং যুগ্ম ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

এই মামলা আগে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, কারণ অর্থনৈতিক অপরাধ শাখা (EOW) একটি ক্লোজার রিপোর্ট দাখিল করলে ট্রায়াল কোর্ট তা মঞ্জুর করে। তবে মৃত ব্যক্তির পরিবারের দায়ের করা পুনর্বিবেচনা আবেদনের ভিত্তিতে এখন মামলাটি পুনরায় খোলা হচ্ছে এবং নতুন করে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মামলার কেন্দ্রে রয়েছেন নীলেশ গায়কওয়াড, যিনি কল্যাণী গ্রুপের অধীনস্থ সংস্থা কল্যাণী টেকনোফোর্জ লিমিটেডে (KTFL) সহকারী ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০১৭ সালের ২০ আগস্ট আত্মহত্যা করেন গায়কওয়াড। তিনি একটি ১১ পাতার সুইসাইড নোট রেখে যান, যেখানে স্পষ্টভাবে অমিত কল্যাণীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

dead

সেই চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, গায়কওয়াড অমিত কল্যাণীকে ১৫ কোটি টাকা দিয়েছিলেন, যার বিনিময়ে ৬০ লাখ টাকার কমিশন পাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু টাকা ফেরত না পাওয়ায় মানসিক চাপে আত্মহননের পথ বেছে নিতে বাধ্য হন তিনি।

আদালতের এই নির্দেশে পুনরায় আলোচনায় উঠে এসেছে শিল্পপতি-ঘনিষ্ঠ মহলের ভূমিকা ও প্রশাসনের নিরপেক্ষতা। এখন সকলের নজর পুনঃতদন্তে পুলিশের পদক্ষেপের দিকে।