"এটা আধুনিক দাসত্ব!" কর্ণাটকে ১২ ঘণ্টা কাজের বিরুদ্ধে ফুঁসছে কর্মীরা!

কর্ণাটক সরকারের ১২ ঘণ্টা কাজের সিদ্ধান্তে তথ্য প্রযুক্তির কর্মীদের মধ্যে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
1123


নিজস্ব সংবাদদাতা: কর্ণাটক সরকার বেসরকারি সংস্থাগুলোর জন্য প্রতিদিনের কর্মঘণ্টা বাড়িয়ে ১২ ঘণ্টা করার যে প্রস্তাব দিয়েছে, তার তীব্র বিরোধিতা শুরু হয়েছে রাজ্যের শ্রমজীবীদের মধ্যে। বিশেষ করে তথ্যপ্রযুক্তি ও আইটি পরিষেবা (IT/ITeS) ক্ষেত্রে কর্মরত শ্রমিক সংগঠন কর্ণাটক স্টেট আইটি/আইটিইএস এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (KITU) এই প্রস্তাবকে আধুনিক দাসত্ব বলে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছে।

বুধবার রাজ্য শ্রম দফতরের উদ্যোগে একটি বৈঠক হয় যেখানে বিভিন্ন শিল্প ও ট্রেড ইউনিয়নের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। কর্ণাটক শপস অ্যান্ড কমার্শিয়াল এস্টাব্লিশমেন্টস আইনে সংশোধন এনে প্রতিদিন ১২ ঘণ্টা কাজ চালু করার এই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়।

it worker

সেই বৈঠকে অংশ নিয়ে KITU-এর নেতা সুহাস আদিগা ও লেনিল বাবু জানান, এই পরিবর্তন শ্রমজীবী মানুষের জীবনে ভয়াবহ প্রভাব ফেলবে। এতে কর্ম-জীবনের ভারসাম্য নষ্ট হবে, কাজের নিরাপত্তা কমবে এবং মানসিক ও শারীরিক ক্লান্তি বাড়বে।

তাঁরা আরও জানান, বর্তমান আইনে দৈনিক সর্বোচ্চ ১০ ঘণ্টা কাজ করার অনুমতি আছে, যার মধ্যে অতিরিক্ত সময়ও ধরা হয়। কিন্তু নতুন প্রস্তাব কার্যকর হলে ১২ ঘণ্টার শিফট চালু হয়ে যাবে এবং দুই শিফটে কাজ ভাগ হওয়ায় মোট এক-তৃতীয়াংশ চাকরি হারানোর আশঙ্কা তৈরি হবে।

KITU সমস্ত কর্মীদের একজোট হয়ে এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে।

এই মুহূর্তে রাজ্যে এই বিষয় নিয়ে তীব্র বিতর্ক চলছে, এবং কর্মজীবী মানুষের উদ্বেগ দিন দিন বাড়ছে।