নিজস্ব সংবাদদাতা: আজ ভারতের ইতিহাসের এক অন্ধকারতম দিন—“এমার্জেন্সি” ঘোষণার ৫০ বছর পূর্তি। এই উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কংগ্রেস দলকে তীব্র আক্রমণ করে একে ভারতের গণতান্ত্রিক ইতিহাসের “সবচেয়ে অন্ধকার অধ্যায়গুলোর একটি” বলে উল্লেখ করেছেন। এই দিনটিকে তিনি ‘সংবিধান হত্যাদিবস’ (Samvidhan Hatya Diwas) হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
এক্স (সাবেক টুইটার)-এ প্রধানমন্ত্রী মোদি লেখেন, “আজ থেকে ঠিক পঞ্চাশ বছর আগে ভারতের গণতন্ত্রে এক কালো অধ্যায় শুরু হয়েছিল—এমার্জেন্সি জারি করে। আজ দেশবাসী সেই দিনটিকে স্মরণ করছে সংবিধান হত্যাদিবস হিসেবে।” তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে যেভাবে ভারতের সংবিধানের চেতনাকে পদদলিত করা হয়েছিল, তা কোনো ভারতবাসী কখনো ভুলবে না।
মোদি বলেন, “এই দিনটি ছিল সেই সময়, যখন সংবিধানের মৌলিক মূল্যবোধ সরিয়ে ফেলা হয়েছিল, মৌলিক অধিকার স্থগিত করা হয়েছিল, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল এবং রাজনৈতিক নেতা, সমাজকর্মী, ছাত্রছাত্রী, এমনকি সাধারণ মানুষকেও কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। যেন কংগ্রেস সরকার ভারতের গণতন্ত্রকেই বন্দি করে রেখেছিল।”
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বাধীন তৎকালীন কংগ্রেস সরকারকে কটাক্ষ করে মোদি আরও বলেন, “৪২তম সংশোধনী ছিল তাদের স্বেচ্ছাচারের এক জ্বলন্ত উদাহরণ। দরিদ্র, প্রান্তিক এবং পিছিয়ে পড়া মানুষদের ওপর অত্যাচার চালানো হয়েছিল, এমনকি তাদের মর্যাদাকেও অপমান করা হয়েছিল।”
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/yWgD0wecQxSR5uWaLlu0.webp)
তিনি বলেন, “আমরা কুর্নিশ জানাই সেই প্রতিটি মানুষকে, যারা এমার্জেন্সির বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে লড়াই করেছেন। দেশজুড়ে নানা মতাদর্শের মানুষ একসাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে গণতন্ত্র রক্ষার জন্য একত্রিত হয়েছিলেন। তাদের সংগ্রামের ফলেই কংগ্রেস সরকার গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে এবং নতুন নির্বাচন ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছিল—যেখানে তারা নির্মম পরাজয় বরণ করেছিল।”
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “আমাদের সরকার ভারতের সংবিধানের আদর্শকে শক্তিশালী করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আমরা সকলের সহযোগিতায় ‘বিকসিত ভারত’ গঠনের দিকে এগিয়ে চলেছি। আসুন, আমরা দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষের স্বপ্ন পূরণের জন্য একসাথে কাজ করি।”
এই দিনটিকে স্মরণ করে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্করও বলেন, “এমার্জেন্সির সময় ছিল ভারতের স্বাধীনতা-উত্তর ইতিহাসের এক বেদনাদায়ক অধ্যায়, যখন প্রতিষ্ঠানগুলিকে দুর্বল করা হয়েছিল, অধিকার স্থগিত করা হয়েছিল, এবং জবাবদিহি শূন্যে পৌঁছেছিল। এই দিন আমাদের স্মরণ করায় যে আমাদের সম্মিলিত দায়িত্ব সংবিধানের মূল্যবোধ রক্ষা করা এবং ভারতীয় গণতন্ত্রের দৃঢ়তাকে বজায় রাখা।”
প্রধানমন্ত্রী মোদি একইসঙ্গে নির্দেশ দিয়েছেন, ১৯৭৫ সালের এমার্জেন্সি-পর্বের সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্ত আইনি নথি সংরক্ষণ করতে হবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য। সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে ‘প্রধানমন্ত্রী জাদুঘর ও গ্রন্থাগার সমিতি’র বৈঠকে তিনি একটি জাতীয় ডাটাবেস তৈরির নির্দেশ দেন, যেখানে দেশের প্রতিটি জাদুঘরের তথ্য থাকবে। একইসঙ্গে তিনি এমার্জেন্সি সম্পর্কিত আইনি মামলার একটি পূর্ণাঙ্গ সংকলন প্রস্তুত ও সংরক্ষণের কথাও বলেন।
“গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছিল”—১৯৭৫ সালের সেই কালরাত্রি নিয়ে ফের তোপ দাগলেন প্রধানমন্ত্রী!
“এমার্জেন্সি” ঘোষণার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তীব্র প্রতিক্রিয়া দেন।
নিজস্ব সংবাদদাতা: আজ ভারতের ইতিহাসের এক অন্ধকারতম দিন—“এমার্জেন্সি” ঘোষণার ৫০ বছর পূর্তি। এই উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কংগ্রেস দলকে তীব্র আক্রমণ করে একে ভারতের গণতান্ত্রিক ইতিহাসের “সবচেয়ে অন্ধকার অধ্যায়গুলোর একটি” বলে উল্লেখ করেছেন। এই দিনটিকে তিনি ‘সংবিধান হত্যাদিবস’ (Samvidhan Hatya Diwas) হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
এক্স (সাবেক টুইটার)-এ প্রধানমন্ত্রী মোদি লেখেন, “আজ থেকে ঠিক পঞ্চাশ বছর আগে ভারতের গণতন্ত্রে এক কালো অধ্যায় শুরু হয়েছিল—এমার্জেন্সি জারি করে। আজ দেশবাসী সেই দিনটিকে স্মরণ করছে সংবিধান হত্যাদিবস হিসেবে।” তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে যেভাবে ভারতের সংবিধানের চেতনাকে পদদলিত করা হয়েছিল, তা কোনো ভারতবাসী কখনো ভুলবে না।
মোদি বলেন, “এই দিনটি ছিল সেই সময়, যখন সংবিধানের মৌলিক মূল্যবোধ সরিয়ে ফেলা হয়েছিল, মৌলিক অধিকার স্থগিত করা হয়েছিল, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল এবং রাজনৈতিক নেতা, সমাজকর্মী, ছাত্রছাত্রী, এমনকি সাধারণ মানুষকেও কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। যেন কংগ্রেস সরকার ভারতের গণতন্ত্রকেই বন্দি করে রেখেছিল।”
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বাধীন তৎকালীন কংগ্রেস সরকারকে কটাক্ষ করে মোদি আরও বলেন, “৪২তম সংশোধনী ছিল তাদের স্বেচ্ছাচারের এক জ্বলন্ত উদাহরণ। দরিদ্র, প্রান্তিক এবং পিছিয়ে পড়া মানুষদের ওপর অত্যাচার চালানো হয়েছিল, এমনকি তাদের মর্যাদাকেও অপমান করা হয়েছিল।”
তিনি বলেন, “আমরা কুর্নিশ জানাই সেই প্রতিটি মানুষকে, যারা এমার্জেন্সির বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে লড়াই করেছেন। দেশজুড়ে নানা মতাদর্শের মানুষ একসাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে গণতন্ত্র রক্ষার জন্য একত্রিত হয়েছিলেন। তাদের সংগ্রামের ফলেই কংগ্রেস সরকার গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে এবং নতুন নির্বাচন ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছিল—যেখানে তারা নির্মম পরাজয় বরণ করেছিল।”
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “আমাদের সরকার ভারতের সংবিধানের আদর্শকে শক্তিশালী করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আমরা সকলের সহযোগিতায় ‘বিকসিত ভারত’ গঠনের দিকে এগিয়ে চলেছি। আসুন, আমরা দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষের স্বপ্ন পূরণের জন্য একসাথে কাজ করি।”
এই দিনটিকে স্মরণ করে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্করও বলেন, “এমার্জেন্সির সময় ছিল ভারতের স্বাধীনতা-উত্তর ইতিহাসের এক বেদনাদায়ক অধ্যায়, যখন প্রতিষ্ঠানগুলিকে দুর্বল করা হয়েছিল, অধিকার স্থগিত করা হয়েছিল, এবং জবাবদিহি শূন্যে পৌঁছেছিল। এই দিন আমাদের স্মরণ করায় যে আমাদের সম্মিলিত দায়িত্ব সংবিধানের মূল্যবোধ রক্ষা করা এবং ভারতীয় গণতন্ত্রের দৃঢ়তাকে বজায় রাখা।”
প্রধানমন্ত্রী মোদি একইসঙ্গে নির্দেশ দিয়েছেন, ১৯৭৫ সালের এমার্জেন্সি-পর্বের সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্ত আইনি নথি সংরক্ষণ করতে হবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য। সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে ‘প্রধানমন্ত্রী জাদুঘর ও গ্রন্থাগার সমিতি’র বৈঠকে তিনি একটি জাতীয় ডাটাবেস তৈরির নির্দেশ দেন, যেখানে দেশের প্রতিটি জাদুঘরের তথ্য থাকবে। একইসঙ্গে তিনি এমার্জেন্সি সম্পর্কিত আইনি মামলার একটি পূর্ণাঙ্গ সংকলন প্রস্তুত ও সংরক্ষণের কথাও বলেন।