/anm-bengali/media/media_files/y9SZ59I8PSFELBlkUKhL.jpg)
নিজস্ব সংবাদদাতা: পাটনার AIIMS মেডিকেল কলেজের একটি হোস্টেল রুম থেকে শনিবার এক এমডি প্রথম বর্ষের ছাত্রের নিথর দেহ উদ্ধার হয়েছে, যা ঘিরে উঠেছে রহস্য ও শোকের ছায়া। মৃত ছাত্রের নাম রঘবেন্দ্র সাহু, যিনি ওড়িশার বাসিন্দা এবং AIIMS-Patna-র পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট বিভাগের ছাত্র ছিলেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মাত্র ২৫ বছর বয়সী এই ছাত্রটি শুক্রবারই নিজেকে একটি উচ্চমাত্রার অ্যানেসথেশিয়া ইনজেকশন দিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। শনিবার দুপুর ১টা নাগাদ পুলিশকে জানানো হয় যে, ওই ছাত্র দীর্ঘক্ষণ ধরে নিজের কক্ষের দরজা খুলছেন না, এমনকি ফোনও ধরছেন না।
ফুলওয়ারিশরিফ-১ অঞ্চলের এসডিপিও সুশীল কুমার জানান, ছাত্রের ঘর ভিতর থেকে লক করা ছিল। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ এবং কলেজ প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে দেখা যায়, ছাত্রটি বিছানায় নিথর অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালের ইমারজেন্সি ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/02/13/qx1Ew5zP7ESSqQP67G34.jpg)
AIIMS-এর চিকিৎসকদের অনুমান, মরণ-ইচ্ছা থেকেই তিনি নিজের শরীরে অতিরিক্ত মাত্রায় অ্যানেসথেশিয়া ইনজেকশন নিয়েছিলেন, যার ফলেই এই মর্মান্তিক পরিণতি।
এই মর্মান্তিক ঘটনায় AIIMS ক্যাম্পাসে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। সহপাঠীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে আতঙ্ক ও চরম আবেগঘন পরিবেশ। এখনই স্পষ্ট নয়, এই চরম সিদ্ধান্তের নেপথ্যে ঠিক কী কারণ কাজ করেছে—চাপ, হতাশা, না কি ব্যক্তিগত কোনও সমস্যা?
পুলিশ জানিয়েছে, গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং প্রয়োজনে মৃত ছাত্রের পরিবারের বক্তব্য নেওয়া হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে আরও পরিষ্কার হবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us