/anm-bengali/media/media_files/kB4YHV7pg5uVuJm39JoX.jpg)
নিজস্ব সংবাদদাতা: বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ)-এর আসন বণ্টন নিয়ে জোর ধাক্কা লাগল রাজ্য রাজনীতিতে। টানা এক সপ্তাহের দফায় দফায় বৈঠক ও দর কষাকষির পর চূড়ান্ত হল নতুন ফর্মুলা। সবচেয়ে বড় খবর—এই জোটে আর কেউ কারো চোটো ভাই বা বড় ভাই নয়! বিজেপি ও জনতা দল (ইউনাইটেড) এবার সমান ১০১টি আসনে লড়বে। অর্থাৎ, নীতীশ কুমারের দল জেডিইউ-এর হাতে গিয়ে পড়েছে বড় ধাক্কা, কারণ ২০২০ সালের ভোটে তারা লড়েছিল ১১৫টি আসনে। এবারের ফর্মুলায় তাদের ভাগ কমেছে ১৪টি আসন।
এই নতুন সমীকরণে সবচেয়ে লাভবান এলজেপি (রামবিলাস) নেতা চিরাগ পাসওয়ান। টানটান দর কষাকষির পর তিনি পেয়েছেন ২৯টি আসন। সূত্র বলছে, বিজেপির পক্ষ থেকে আলোচনায় নেতৃত্ব দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধরমেন্দ্র প্রধান, যিনি শেষ পর্যন্ত সব পক্ষকে রাজি করাতে সক্ষম হন।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/ZsROnrDvMb0N4jdfWnuD.jpg)
জোটের অন্য দুই ছোট সঙ্গী—জিতন রাম মাঞ্জির এইচএএম এবং উপেন্দ্র কুশওয়াহার আরএলজেপি—তাঁদের নিজ নিজ আসনসংখ্যায় ছাড় দিয়ে চিরাগের দাবিকে গুরুত্ব দেন। এনডিএ নেতৃত্বের বিশ্বাস, এই নতুন ফর্মুলা জোটকে একসঙ্গে রেখে রাজ্যে শক্তিশালী বার্তা দেবে যে তারা এখন ঐক্যবদ্ধ এবং আগের মতো দলে দলে বিভক্ত নয়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই সমান আসন বণ্টন নীতীশ কুমারের জন্য এক বড় সংকেত—বিজেপি আর আগের মতো তার ছোট সহযোগী নয়, বরং এখন সমান কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়তে চায়। অন্যদিকে, চিরাগ পাসওয়ানের দলের এত বড় সাফল্য দেখাচ্ছে যে বিহারের রাজনীতিতে নতুন প্রজন্মের নেতৃত্বকেও জায়গা দিতে বাধ্য হচ্ছে এনডিএ।
নতুন ফর্মুলার ঘোষণার পর পটনার রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর আলোচনা। অনেকেই বলছেন—এই ‘সমান আসনের সমঝোতা’ বিহারের নির্বাচনী সমীকরণ আমূল বদলে দিতে পারে।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us