নিজস্ব সংবাদদাতা: গত এপ্রিল মাসে জম্মু-কাশ্মীরের পাহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ২৬ জন নিরীহ মানুষ। তাঁদেরই একজন ছিলেন ৩০ বছরের পনি হ্যান্ডলার সৈয়দ আদিল হুসেন শাহ। সোমবার সেনাবাহিনীর অভিযানে ওই হামলার মূল চক্রী সহ তিন জঙ্গি নিকেশ হওয়ার খবর সামনে আসতেই এক রকম স্বস্তি ফিরে পেল আদিলের পরিবার।
আদিলের দাদা সৈয়দ নওশাদ শাহ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “আমরা সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ। শুনলাম, এই তিন জঙ্গিই পাহেলগাঁও হামলার সঙ্গে যুক্ত ছিল। ভারতীয় সেনা যেভাবে অপারেশন চালিয়ে তাদের খতম করেছে, তাতে আমাদের মনে হচ্ছে, আদিলের মৃত্যু অবশেষে ন্যায়বিচার পেল।”
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/04/25/RDgz7cRS41FZXvf1fQoN.jpg)
নওশাদ আরও বলেন, “যারা আমাদের পরিবারকে ভেঙে দিয়েছিল, তাদের আজ শেষ দেখে গর্ব হচ্ছে। আমরা আমাদের ভাইকে ফিরে পাব না, কিন্তু এই খবরে কিছুটা শান্তি মিলছে। আমাদের সেনাবাহিনীকে কুর্নিশ। এই বিচার কেবল আমাদের জন্য নয়, ওই ২৬টি পরিবারের জন্যও— যারা সেদিন সবকিছু হারিয়েছিল।”
সোমবার শ্রীনগরের কাছে দাচিগামে সেনা, সিআরপিএফ ও পুলিশের যৌথ অভিযানে নিকেশ করা হয় লস্কর ও জইশ জঙ্গিদের একটি মিশ্র গোষ্ঠীকে। সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, নিহত তিন জঙ্গির মধ্যে একজন পাহেলগাঁও হামলার মূল মাস্টারমাইন্ড ছিল। এই খবরে শহিদ পরিবারের আবেগে বাঁধ ভেঙেছে।
নওশাদ বলেন, “আমরা গত তিন মাস ধরে শুধু একটাই কথা শুনতে চেয়েছিলাম— ওরা ধরা পড়েছে কি না। আজ শুনলাম, ওদের শেষ করে দেওয়া হয়েছে। এই খবরে যেন ভাইয়ের আত্মা শান্তি পাবে।”
এই অপারেশনের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন মহাদেব’। সেনা জানিয়েছে, জঙ্গিরা দীর্ঘ ১৪ দিন নজরদারির মধ্যে ছিল, এবং স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন সিগন্যাল ধরেই অভিযান শুরু হয়।
শহিদ পরিবারের এই প্রতিক্রিয়া আরও একবার বুঝিয়ে দিল, সেনার এক একটি সাফল্য শুধু কৌশলগত জয় নয়— বরং তা পাহেলগাঁও হামলায় ভাঙা পরিবারের কাছে এক ধরনের ন্যায়বিচারের বার্তা।
পাহেলগাঁও হামলার বদলা! ভাই হারানোর যন্ত্রণা যেন কিছুটা লাঘব… জঙ্গি নিকেশের খবরেই কেঁদে উঠলেন
"এতদিনে বিচার পেলাম।" পাহেলগাঁও হামলার শহিদের পরিবার কেঁদে ফেললেন জঙ্গি নিকেশের খবরেই।
নিজস্ব সংবাদদাতা: গত এপ্রিল মাসে জম্মু-কাশ্মীরের পাহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ২৬ জন নিরীহ মানুষ। তাঁদেরই একজন ছিলেন ৩০ বছরের পনি হ্যান্ডলার সৈয়দ আদিল হুসেন শাহ। সোমবার সেনাবাহিনীর অভিযানে ওই হামলার মূল চক্রী সহ তিন জঙ্গি নিকেশ হওয়ার খবর সামনে আসতেই এক রকম স্বস্তি ফিরে পেল আদিলের পরিবার।
আদিলের দাদা সৈয়দ নওশাদ শাহ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “আমরা সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ। শুনলাম, এই তিন জঙ্গিই পাহেলগাঁও হামলার সঙ্গে যুক্ত ছিল। ভারতীয় সেনা যেভাবে অপারেশন চালিয়ে তাদের খতম করেছে, তাতে আমাদের মনে হচ্ছে, আদিলের মৃত্যু অবশেষে ন্যায়বিচার পেল।”
নওশাদ আরও বলেন, “যারা আমাদের পরিবারকে ভেঙে দিয়েছিল, তাদের আজ শেষ দেখে গর্ব হচ্ছে। আমরা আমাদের ভাইকে ফিরে পাব না, কিন্তু এই খবরে কিছুটা শান্তি মিলছে। আমাদের সেনাবাহিনীকে কুর্নিশ। এই বিচার কেবল আমাদের জন্য নয়, ওই ২৬টি পরিবারের জন্যও— যারা সেদিন সবকিছু হারিয়েছিল।”
সোমবার শ্রীনগরের কাছে দাচিগামে সেনা, সিআরপিএফ ও পুলিশের যৌথ অভিযানে নিকেশ করা হয় লস্কর ও জইশ জঙ্গিদের একটি মিশ্র গোষ্ঠীকে। সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, নিহত তিন জঙ্গির মধ্যে একজন পাহেলগাঁও হামলার মূল মাস্টারমাইন্ড ছিল। এই খবরে শহিদ পরিবারের আবেগে বাঁধ ভেঙেছে।
নওশাদ বলেন, “আমরা গত তিন মাস ধরে শুধু একটাই কথা শুনতে চেয়েছিলাম— ওরা ধরা পড়েছে কি না। আজ শুনলাম, ওদের শেষ করে দেওয়া হয়েছে। এই খবরে যেন ভাইয়ের আত্মা শান্তি পাবে।”
এই অপারেশনের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন মহাদেব’। সেনা জানিয়েছে, জঙ্গিরা দীর্ঘ ১৪ দিন নজরদারির মধ্যে ছিল, এবং স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন সিগন্যাল ধরেই অভিযান শুরু হয়।
শহিদ পরিবারের এই প্রতিক্রিয়া আরও একবার বুঝিয়ে দিল, সেনার এক একটি সাফল্য শুধু কৌশলগত জয় নয়— বরং তা পাহেলগাঁও হামলায় ভাঙা পরিবারের কাছে এক ধরনের ন্যায়বিচারের বার্তা।