ভোরের নামাজ শেষে রান্না করছিল পরিবার, পাহাড় ভেঙে হিমাচল এল ধ্বংস

হিমাচল প্রদেশে একের পর এক ভূমিধসে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও অনেকে নিখোঁজ।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
himachal landslide

নিজস্ব সংবাদদাতা: হিমাচল প্রদেশে টানা বৃষ্টিপাতের ফলে বৃহস্পতিবার সকালেই কুল্লুর ব্যস্ত আখাড়া বাজার এলাকা কেঁপে উঠল ভয়াবহ ভূমিধসে। একে একে দুটি ভূমিধস আঘাত হানে এলাকায়। প্রথমেই একটি বিশাল ভূমিধসে তিনটি বাড়ি ভেঙে মাটির সঙ্গে মিশে যায়। মুহূর্তের মধ্যে মানুষ চাপা পড়ে যায় ভাঙা ইট-পাথরের নিচে। এই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত এক ব্যক্তির মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে, আহত হয়েছেন অন্তত তিনজন।

দুর্যোগে মৃত ব্যক্তির পরিচয়ও জানা গিয়েছে। তিনি কাশ্মীরের বাসিন্দা। তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে। অন্যদিকে, আহতদের মধ্যে একজন পুরুষ ও দুইজন নারী রয়েছেন। তাঁদের দ্রুত নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে চিকিৎসার জন্য। এখন পর্যন্ত চারজনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

uttarakhand land slide

চোখের সামনে ঘরবাড়ি ধসে পড়তে দেখে আতঙ্কিত স্থানীয়রা। আব্দুল নামের এক ব্যক্তি জানালেন, তাঁর পরিবারের পাঁচজন এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে আছেন। ভোরের নামাজ পড়ে সবাই যখন ঘরে রান্না করছিলেন, হঠাৎ পাহাড় ভেঙে পুরো ঘরবাড়ির উপর এসে পড়ে। তিনটি ভাড়া করা ছোট ঘরে থাকতেন তাঁরা। আব্দুলের কথায়, তাঁদের মধ্যে একজন প্রাণে বেঁচে গেছেন জানালা দিয়ে লাফিয়ে পালিয়ে।

প্রথম ভূমিধসের পরই এলাকায় তৈরি হয় হাহাকার। মানুষ চিৎকার করে সাহায্য চাইতে থাকেন। তবে আশার আলো জ্বেলে দেন উদ্ধারকর্মীরা। ঘটনাস্থল থেকে মাত্র ২০০ মিটার দূরে আগের একটি ভূমিধসের কারণে ইতিমধ্যেই জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (এনডিআরএফ) ১৪ তম ব্যাটালিয়নের একটি দল মোতায়েন ছিল। খবর পাওয়া মাত্রই তারা দ্রুত এগিয়ে আসে। তাঁদের নেতৃত্ব দেন সহকারী কমান্ড্যান্ট সন্তোষ।

অবিরাম বৃষ্টির মাঝেও প্রশাসন, এনডিআরএফ, হিমাচল প্রদেশ পুলিশ, হোম গার্ডস, অগ্নি নির্বাপন দপ্তর এবং অসংখ্য স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক একসঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন উদ্ধারকাজে। এখনও অনেক মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই পুরো আখাড়া বাজার এলাকায় এখন চলছে টানটান উত্তেজনা ও প্রাণপণ উদ্ধার অভিযান।