/anm-bengali/media/media_files/2025/07/12/udaipur-s-2025-07-12-14-20-31.jpg)
নিজস্ব সংবাদদাতা: উদয়পুরের দর্জি কানহাইয়া লাল তেলির নৃশংস শিরচ্ছেদের ঘটনা যেন সময়ের ধুলোয় চাপা পড়ে যাচ্ছে। ঘটনার তিন বছরের বেশি সময় পার হয়ে গেলেও ন্যায়বিচারের চাকা নড়ছে অত্যন্ত ধীর গতিতে। ২০২২ সালের ২৮ জুনের সেই রক্তাক্ত দিন এখনও ভারতের স্মৃতিতে দগদগে, কিন্তু বিচার প্রক্রিয়া তার গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছে না।
জানা গেছে, মোট ১৬৬ জন সাক্ষীর মধ্যে মাত্র ৬ জনেরই এখন পর্যন্ত সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। যদিও কানহাইয়া লালের ছেলে যশের দাবি, প্রায় ১৪-১৫ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। এদিকে, 'দ্য উদয়পুর ফাইলস' নামে একটি চলচ্চিত্র নতুন করে এই মামলাকে আলোচনায় এনে দিয়েছে, যা বিচার প্রক্রিয়ার ধীরগতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে গোটা দেশজুড়ে।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/07/06/udaipur-2025-07-06-21-50-55.jpg)
ঘটনাটি ঘটেছিল উদয়পুর শহরের পুরনো এক সরু গলির ছোট্ট দর্জির দোকানে। প্রকাশ্য দিবালোকে সেখানে কানহাইয়া লালকে কুপিয়ে হত্যা করে রিয়াজ আত্তারি ও ঘৌস মোহাম্মদ নামে দুই আততায়ী। তাঁরা নিজেরাই হত্যার ভিডিও বানিয়ে তা অনলাইনে পোস্ট করে জানায়, এই হত্যাকাণ্ড ছিল নুপুর শর্মার সমর্থনে করা একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের প্রতিশোধ। উল্লেখ্য, বিজেপি মুখপাত্র নুপুর শর্মার সেই বিতর্কিত মন্তব্য ইসলামের নবী সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছিল।
হত্যাকারী দুজনের সঙ্গে পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সরাসরি যোগসূত্রও তদন্তে উঠে এসেছে। তবু এত বড় ও স্পর্শকাতর একটি মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ এত ধীরগতিতে চলায় ক্ষোভ বাড়ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
নিরাপত্তা হুমকির মুখে এখনও কানহাইয়া লালের পরিবার। তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে তাঁরা আশায় বুক বেঁধে বসে আছেন, বিচার যেন আর দেরি না হয়।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us