“মা, ফিরে এসো!”— ইয়েমেনে মায়ের মৃত্যুদণ্ড রুখতে চোখের জলে বিচারকের দরজায় ১৩ বছরের মেয়ে

কেরলের নার্স নিমিষা প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড রুখতে ইয়েমেনে পৌঁছালেন স্বামী ও মেয়ে।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
nimisha priya family


নিজস্ব সংবাদদাতা: মাত্র ১৩ বছরের মেয়ে মিশেল। ছোট্ট শরীর, কিন্তু বুকে পাহাড় সমান যন্ত্রণা। ইয়েমেনে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ভারতীয় নার্স নিমিষা প্রিয়ার মুক্তির দাবিতে বাবার হাত ধরে পৌঁছেছে ইয়েমেনে। মায়ের মুখ দেখতে দেখতে কেটে গেছে এক দশক। এবার সেই কিশোরী কণ্ঠে  মায়ের জন্য কাতর আবেদন— “মা, আমি তোমায় ভালোবাসি। প্লিজ, আমার মাকে ফিরিয়ে দিন। আমি ওঁকে ভীষণ মিস করি।”

কেরলের বাসিন্দা নিমিষা প্রিয়া একজন নার্স। গত কয়েক বছর ধরে ইয়েমেনের জেলে বন্দি তিনি। এক স্থানীয় নাগরিককে হত্যার অভিযোগে নিমিষার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেছে সেদেশের আদালত। সেই দণ্ড রদ করতে এবার মানবিক আবেদন নিয়ে ইয়েমেনে পৌঁছেছে তাঁর কন্যা মিশেল।

nimisha priya a

মিশেলের সঙ্গে গিয়েছেন তার বাবা টমি থমাস এবং গ্লোবাল পিস ইনিশিয়েটিভ-এর প্রতিষ্ঠাতা ডঃ কে এ পল। তাঁদের লক্ষ্য, ইয়েমেনের প্রশাসনের কাছে সরাসরি ক্ষমাভিক্ষা করা এবং নিমিষা প্রিয়ার প্রাণদণ্ড রুখে তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনা।

মিশেলের আবেগঘন ভাষণে ইতিমধ্যেই চোখে জল এসেছে বহু মানুষের। “মা, তুমি কোথায়? তোমায় দেখতে চাই”— এই আর্তির জবাব কি দেবে বিশ্ববিবেক?

বর্তমানে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও গোটা বিষয়টির ওপর নজর রাখছে। তবে ইয়েমেনের মতো যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় সাফল্য কতটা আসবে, তা নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা। তবু, এক কিশোরীর হৃদয়স্পর্শী আর্তি এখন গর্জে উঠেছে আন্তর্জাতিক মঞ্চে— “মায়ের প্রাণ বাঁচাও!”