বিস্ফোরণের পরের দিনই দূতাবাসে এনআইএ, শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান

বুধবার দিল্লিতে ইজরায়েল দূতাবাসের কাছে এনআইএ-এর একটি দল তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা নাগাদ দিল্লিতে ইজরায়েল দূতাবাসের কাছে বিস্ফোরণের আওয়াজ পাওয়া যায়।

New Update
israel embassy .jpg

নিজস্ব সংবাদদাতা:  বুধবার দিল্লিতে ইজরায়েল দূতাবাসের কাছে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে এনআইএ।  মঙ্গলবার রাতের দিকে ইজরায়েলের দূতাবাসের কাছে একটি বিস্ফোরণের আওয়াজ শুনতে পাওয়া গিয়েছিল। পাশাপাশি, ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূতকে নিশানা করে একটি অপমানকর চিঠি উদ্ধার করা হয়েছে। এরপরেই তল্লাশি অভিযান শুরু করে জাতীয় নিরাপত্তা এজেন্সি। 

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উচ্চ-নিরাপত্তা জোনে ইজরায়েল দূতাবাসের কাছে একটি কম-তীব্রতার বিস্ফোরণ শোনা গিয়েছিল। যা ভারতীয় নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলির মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করে। মঙ্গলবার রাত থেকেই ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এই উচ্চ নিরাপত্তা অঞ্চলে তল্লাশি অভিযান শুরু করে।  এই অভিযানের সময় ঘটনাস্থল থেকে ইজরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে সম্বোধন করা একটি চিঠি উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। ইজরায়েলের দূতাবাসের কাছে বিস্ফোরণে কেউ আহত হননি বলে জানা গিয়েছে। দূতাবাসের কোনও ক্ষতি হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। তবে দিল্লি জুড়ে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার ইজরায়েলের ডেপুটি চিফ অফ মিশন ওহাদ নাকাশ কাইনার বলেন, “আজ সন্ধ্যায়,  দূতাবাসের কাছাকাছি একটি বিস্ফোরণ ঘটে। আমাদের সব কর্মী , আমাদের সব কূটনীতিকরা নিরাপদে রয়েছেন। আমাদের নিরাপত্তা দলগুলি দিল্লির স্থানীয় নিরাপত্তার সাথে পূর্ণ সহযোগিতায় কাজ করছে, এবং তারা বিষয়টি আরও তদন্ত করবে।” 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন,  প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করা হচ্ছে ইজরায়েল দূতাবাসের পিছনে পৃথ্বীরাজ রোডের একটি জঙ্গল এলাকায় এটি একটি "উচ্চ-তীব্রতার ক্র্যাকার বিস্ফোরণ" হয়েছে। ঘটনার সময় দূতাবাসে কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন, এছাড়াও কাছাকাছি একটি ভবনে নিয়োজিত একজন নিরাপত্তা রক্ষী এবং একজন কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন। ওই পুলিশ আধিকারিকঅ  দিল্লি ফায়ার সার্ভিসেস (ডিএফএস) এর  বিস্ফোরণের কথা জানিয়েছিলেন। 

অন্য এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ঘটনাস্থলে ছুরি বা প্রাণঘাতী কোনও অস্ত্র পাওয়া যায়নি। তিনি মনে করছেন, দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ক্র্যাকার জাতীয় কিছুর বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। তবে ইজরায়েল দূতাবাসের নিরাপত্তা আগের থেকে অনেকটা বাড়ানো হয়েছে।