নিজস্ব সংবাদদাতা: বিমান দুর্ঘটনার কয়েক মিনিট আগেই আহমেদাবাদের একটি কলেজ হোস্টেলের কাছে থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন রবি ঠাকোর ও তাঁর স্ত্রী ললিতা। তাঁরা দুপুরের খাবারের ডেলিভারি দিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁদের দু’বছরের ছোট্ট কন্যাসন্তান ও বৃদ্ধা মা তখনও ক্যান্টিনেই ছিলেন—ঠিক যেখানে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার অভিঘাত আছড়ে পড়ে।
বিমান দুর্ঘটনার পর থেকে স্তব্ধ রবি ঠাকোর এখন হাসপাতালের বাইরে একরাশ ভরসা আর কান্না নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। আশায় বুক বেঁধেছেন, হয়তো আরেকটা ‘মিরাকল’ হবে, যেমনটা বিমানের ২৪২ জন যাত্রীর মধ্যে একমাত্র জীবিত যাত্রীকে নিয়ে হয়েছে।
ঠাকোর বলেন, “যদি বিমানে থাকা একজন যাত্রী বেঁচে থাকতে পারেন, তাহলে হয়তো আমার মা ও মেয়েও বেঁচে থাকতে পারে। আমি এই আশা ছাড়ছি না।” স্ত্রী ললিতা চুপ করে ছিলেন তাঁর পাশে—চোখেমুখে অসহায়তা আর শোক।
রবি ঠাকোর আরও বলেন, “আমরা জানি বেঁচে থাকার সম্ভাবনা খুবই কম, কিন্তু আমরা এখনও হাল ছাড়িনি। হয়তো কেউ আমার মেয়েকে উদ্ধার করে নিয়ে গেছে, আমি শুধু সেই খবরের অপেক্ষায় আছি।”
ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বহু মানুষ তাঁদের প্রিয়জনদের খুঁজছেন—আর ঠাকোর দম্পতির এই যন্ত্রণা এখন গোটা দেশের মনের ভিতর নাড়া দিচ্ছে।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us