কাশ্মীরে নতুন র‍্যাডিকাল নেটওয়ার্ক! মৌলভি ইরফানের বাড়ি ঘিরে তদন্ত শুরু

GMC Srinagar-এর প্রাক্তন প্যারামেডিক্যাল কর্মী ও ইমাম মাওলভি ইরফানকে জইশ সংযোগে সন্দেহ করছে গোয়েন্দারা। অভিযোগ, তিনি চিকিৎসক ও ছাত্রদের র‍্যাডিকাল চিন্তায় প্রভাবিত করেছেন। ফারিদাবাদ-দিল্লি মডিউলের মূল মস্তিষ্ক তিনিই!

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
breaking new 2

নিজস্ব সংবাদদাতা: কাশ্মীরে ফের জঙ্গি যোগের ছায়া! শ্রীনগরের সরকারি মেডিকেল কলেজের (GMC Srinagar) প্রাক্তন প্যারামেডিক্যাল কর্মী ও ইমাম মৌলভি ইরফান এখন তদন্তের মূল কেন্দ্রবিন্দু। গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, তিনিই নেপথ্যে থেকে মেডিকেল ছাত্রছাত্রীদের ‘র‍্যাডিকাল চিন্তাধারায়’ প্রভাবিত করতেন।

তদন্তে উঠে এসেছে চমকে দেওয়া তথ্য— এই ইরফানই ছিলেন ফারিদাবাদ-দিল্লি জঙ্গি মডিউলের মূল মস্তিষ্ক। তাঁর প্রভাবে থাকা তিন সন্দেহভাজন চিকিৎসক ও ছাত্রছাত্রী জইশ-ই-মোহাম্মদ (Jaish-e-Mohammad)-এর ভাবধারার প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন বলে গোয়েন্দারা নিশ্চিত হয়েছেন।

মৌলভি ইরফানের বাড়ি দক্ষিণ কাশ্মীরের শোপিয়ান জেলার নাদিগাম গ্রামে। নিরাপত্তা বাহিনীর রিপোর্ট অনুযায়ী, এই গ্রাম বহুদিন ধরেই জইশ জঙ্গি সংগঠনের প্রভাববলয়ে থাকা এলাকা। বহু বছর আগে ইরফান স্থানীয় মসজিদের ইমাম হিসেবে কাজ করতেন, পাশাপাশি GMC Srinagar-এ প্যারামেডিক্যাল স্টাফ হিসেবেও কর্মরত ছিলেন। পরে চাকরি ছেড়ে দেন, কিন্তু সেই সময়ের অনেক ছাত্রের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ বজায় থাকে।

সেই যোগাযোগই পরবর্তীকালে হয়ে ওঠে বিপজ্জনক। নিরাপত্তা সূত্র বলছে, মেডিকেল শিক্ষার্থীদের মধ্যে কিছু তরুণকে তিনি গোপনে ধর্মীয় ও চরমপন্থী প্রচারে উদ্বুদ্ধ করতেন। পরবর্তীকালে এই তরুণদের মধ্যেই কয়েকজন যোগ দেয় ‘ফারিদাবাদ-দিল্লি মডিউল’-এ, যাদের এখন সন্ত্রাস দমন শাখা জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

arrested 123

এক শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, “ইরফান ছিলেন শিক্ষিত, প্রভাবশালী এবং ধর্মীয় নেতা— সেই অবস্থানকেই তিনি কাজে লাগিয়েছিলেন তরুণদের বিভ্রান্ত করতে। তিনি এক ধরনের মানসিক প্রভাব বিস্তার করতেন, যা সাধারণ উপদেশ নয়, বরং সংগঠিত মতাদর্শের অংশ।”

বর্তমানে ইরফানের সম্ভাব্য যোগাযোগ ও তাঁর নেটওয়ার্ক খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। নাদিগাম গ্রামে চলছে জোর তল্লাশি অভিযান। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক বছর ধরেই ইরফান রহস্যজনকভাবে গোপন জীবন যাপন করছিলেন।

ফারিদাবাদ থেকে দিল্লি হয়ে কাশ্মীর— এই জঙ্গি নেটওয়ার্কের শিকড় এখন নিরাপত্তা বাহিনীর তদন্তে ধীরে ধীরে পরিষ্কার হচ্ছে। গোটা দেশজুড়ে তাই এখন একটাই প্রশ্ন ঘুরছে — একজন প্রাক্তন ইমাম কীভাবে মেডিকেল ক্যাম্পাসের ভেতরে জঙ্গি ভাবধারা ছড়িয়ে দিলেন?