শান্তির দাওয়াই না কি রাজনৈতিক বার্তা? মণিপুরে বিধায়কের সাহসী সফর ঘিরে চর্চা

মণিপুরে প্রথমবার কুকি গ্রামে গেলেন মেইতেই বিধায়ক যুমনাম খেমচন্দ সিং। সংঘাতের মাঝেও শান্তির বার্তা, ত্রাণ শিবিরে কুকি পরিবারের সঙ্গে কথা।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
manipur village

নিজস্ব সংবাদদাতা:  ২০২৩ সালের মে মাসে মণিপুরে মেইতেই ও কুকি সম্প্রদায়ের সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর এই প্রথম কোনও মেইতেই বিধায়ক কুকি অধ্যুষিত গ্রামে গেলেন। সোমবার বিজেপি নেতা ও প্রাক্তন গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী যুমনাম খেমচন্দ সিং উখরুল জেলার দুই কুকি গ্রামে পৌঁছে শান্তি ও আস্থার বার্তা দিলেন।

মিয়ানমার সীমান্ত লাগোয়া লিতান গ্রামে গিয়ে তিনি স্থানীয় কুকি বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন। গত আড়াই বছরে তাঁদের জীবন, কষ্ট ও সমস্যার খোঁজ নেন। মণিপুরে জাতিগত সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত ২৫০-র বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং হাজার হাজার মানুষ ঘর ছাড়া। এখনও এক লক্ষের বেশি মানুষ বিভিন্ন ত্রাণ শিবিরে দিন কাটাচ্ছেন।

Manipur

লিতান সারাইকং ব্যাপটিস্ট চার্চে থাকা কুকি ত্রাণশিবিরেও যান যুমনাম। সেখানে তিনি পালিয়ে আসা পরিবারগুলোর সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, বড়দিনের আগে সবাইকে শান্তির জন্য প্রার্থনা করা উচিত।

খেলোয়াড় থেকে রাজনীতিক হওয়া যুমনাম আগে মণিপুর বিধানসভার স্পিকারও ছিলেন। তিনি গ্রামবাসীদের সান্ত্বনা দিয়ে বলেন, সব সম্প্রদায়ের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত মণিপুরে আবার শান্তি ফিরিয়ে আনা।

তিনি বলেন, পৃথিবীর সব দেশেই সংঘাত থাকে। কিন্তু সেই সংঘাত যেন উন্নয়নকে আটকে না দেয়। তাঁর কথায়, নানা ভেদাভেদের মধ্যেও একসঙ্গে বাস করার শিক্ষা নিতে হবে। একে অপরের গ্রামে যাওয়া–আসায় কোনও বাধা থাকা উচিত নয়।

যুমনাম শিবিরে থাকা ১৭৩ জন কুকি বাসিন্দাকে স্মরণ করিয়ে দেন যে, এই সংঘাত যেন শিশুদের ভবিষ্যৎকে ক্ষতিগ্রস্ত না করে। তিনি বলেন, বড়দের মধ্যে মতভেদ থাকতেই পারে, কিন্তু ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা ভেবে এখনই শান্তির পথে ফিরে আসা জরুরি।