/anm-bengali/media/media_files/2025/08/01/captured-2025-08-01-13-43-43.jpg)
নিজস্ব সংবাদদাতা: ২০০৮ সালের মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলায় অভিযুক্তদের বেকসুর খালাসের পর ফের নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়াল। মহারাষ্ট্র অ্যান্টি টেররিজম স্কোয়াড (ATS)-এর প্রাক্তন ইনস্পেক্টর মেহেবুব মুজাওয়ার বিস্ফোরক দাবি করলেন, তাঁকে নাকি গোপনে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতকে গ্রেফতার করার!
প্রসঙ্গত, এই মামলায় বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল শ্রিকান্ত পুরোহিতসহ সাতজন অভিযুক্তকে বৃহস্পতিবার নির্দোষ বলে ঘোষণা করে আদালত। আর ঠিক তার পরেই সামনে আসে প্রাক্তন তদন্তকারী অফিসার মেহেবুব মুজাওয়ারের এই বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি।
এক সাক্ষাৎকারে মুজাওয়ার বলেন, "আমাকে বলা হয়েছিল—যাও, মোহন ভাগবতকে গ্রেফতার করো।" তিনি জানান, সেই সময় ATS-এর তরফ থেকে তাঁকে গোপনভাবে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল, দেশজুড়ে ‘গেরুয়া সন্ত্রাস’-এর একটি ছবি তুলে ধরা। কিন্তু তিনি স্পষ্ট বলেন, "দেশে কোনও গেরুয়া সন্ত্রাস ছিল না, সবটাই ছিল সাজানো গল্প।"
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/08/01/malegaon-blast-2025-08-01-13-44-28.jpg)
মুজাওয়ার জানান, ওই সময় রাম কালসাঙ্গরা, সন্দীপ ডাংগে, দিলীপ পাটিদার এবং মোহন ভাগবতের বিরুদ্ধে তাঁকে গোপন 'অ্যাপ্রিহেনশন অর্ডার' দেওয়া হয়। তবে তিনি বলেন, “এত বড় একজন জাতীয় ব্যক্তিত্বকে গ্রেফতার করা আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না। আমি সেই নির্দেশ মানিনি। আর তাই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা দায়ের করা হয় এবং আমার ৪০ বছরের কেরিয়ার ধ্বংস হয়ে যায়।”
২০০৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর, মহারাষ্ট্রের মালেগাঁও শহরে একটি বাইকে বিস্ফোরণ ঘটে, যাতে ৬ জন নিহত হন এবং ১০০-র বেশি মানুষ আহত হন। এই মামলাকে ঘিরেই দীর্ঘদিন ধরে চলছিল রাজনৈতিক বিতর্ক, যার কেন্দ্রে ছিল 'হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাস' বা 'সাফ্রন টেরর' শব্দবন্ধটি।
প্রাক্তন ATS অফিসারের এই বিস্ফোরক স্বীকারোক্তির পর নতুন করে প্রশ্ন উঠছে সেই সময়ের তদন্ত এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিততা নিয়ে।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us