লোকসভায় ‘বঙ্কিমদা’! প্রধানমন্ত্রীকে থামাল তৃণমূল, তুমুল বিতর্কে উত্তাল রাজনীতি

লোকসভায় ‘বঙ্কিমদা’ মন্তব্যে মোদীকে থামাল তৃণমূল, উত্তাল সংসদ। ‘বন্দে মাতরম্’ নিয়ে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর বিস্ফোরক অভিযোগ।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
modi


নিজস্ব সংবাদদাতা: লোকসভার শীতকালীন অধিবেশনে ‘বন্দে মাতরম্’ নিয়ে আলোচনার সময় বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে বারবার ‘বঙ্কিমদা’ বলে সম্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বাংলার ঐতিহ্যের প্রসঙ্গ টানতে টানতেই তিনি এই শব্দ ব্যবহার করেন।

কিন্তু এই সম্বোধন শুনেই আপত্তি তোলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তিনি মাঝপথে প্রধানমন্ত্রীকে থামিয়ে বলেন, অন্তত ‘বঙ্কিমবাবু’ বলা উচিত। সৌগতের কথা শুনে সঙ্গে সঙ্গেই নিজের ভাষণ ঠিক করেন মোদী। তিনি বলেন, “আচ্ছা, বঙ্কিমবাবু বলছি,” এবং সৌগতকে ধন্যবাদ জানিয়ে মজার সুরে যোগ করেন, “তাহলে আপনাকেও তো দাদা ডাকতে পারি তো?”

তৃণমূল অবশ্য একেবারেই এই সম্বোধন মেনে নেয়নি। দলের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার সংসদেই বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে ভাবে বঙ্কিমচন্দ্রকে ‘বঙ্কিমদা’ বললেন, তাতে মনে হয়েছে যেন চায়ের আড্ডায় বসে কথা বলছেন। তিনি দাবি করেন, প্রচুর মানুষ তাঁকে ফোন ও মেসেজ করে জানিয়েছেন—বাংলা এই সম্বোধনকে ভালোভাবে নেয়নি। বিজেপির তরফে এই মন্তব্যের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

zsdsd

এদিন ‘বন্দে মাতরম্‌’-এর গুরুত্বপূর্ণ দু’টি স্তবক বাদ যাওয়াকেও কংগ্রেসের বিশ্বাসঘাতকতা বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী। গান্ধীজি কীভাবে এই গানকে জাতীয় সঙ্গীতের মর্যাদায় দেখেছিলেন, তা তুলে ধরেন তিনি। মোদীর অভিযোগ, নেহরু নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন—‘বন্দে মাতরম্’ নাকি মুসলিমদের প্ররোচিত করতে পারে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা একটা বড় অবিচার এবং বিশ্বাসঘাতকতা।