/anm-bengali/media/media_files/2025/07/18/odisha-student-protest-2025-07-18-12-51-58.jpg)
নিজস্ব সংবাদদাতা: ওড়িশার ফকির মোহন কলেজে আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়া এক ছাত্রীকে ঘিরে সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। যৌন হেনস্তার অভিযোগে অভিযুক্ত অধ্যাপক সমীর রঞ্জন সাহুর ইন্ধনে কলেজের ৭১ জন ছাত্রছাত্রী একটি চিঠি লেখে অধ্যক্ষকে, যাতে ওই ছাত্রীকে কলেজ থেকে বরখাস্ত করার দাবি জানানো হয়।
চিঠিটি লেখা হয় ১ জুলাই, আর সেই চিঠির কপি প্রকাশ্যে এসেছে। চিঠিতে যাঁদের স্বাক্ষর, তাঁরা সবাই অভিযুক্ত অধ্যাপক সাহুর ছাত্রছাত্রী, যাঁরা তাঁর প্ররোচনায় এই উদ্যোগে সামিল হয়েছিলেন বলে অভিযোগ। সাহু কলেজের ইন্টিগ্রেটেড বি.এড. বিভাগটির প্রধান ছিলেন।
ঘটনার ভয়াবহ মোড় নেয় যখন ২২ বছর বয়সী ছাত্রীটি নিজের শরীরে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। সপ্তাহের শুরুতেই তাঁর মৃত্যু হয়। এর আগে তিনি অধ্যাপক সাহুর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার গুরুতর অভিযোগ আনেন।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/07/15/odisha-2025-07-15-19-29-00.jpg)
এই ঘটনার পর গোটা রাজ্যে নেমে এসেছে শোকের ছায়া ও ক্ষোভের ঝড়। পুলিশ ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত অধ্যাপক সমীর সাহু ও কলেজের অধ্যক্ষকে গ্রেপ্তার করেছে। জানা গেছে, ছাত্রীটির অভিযোগকে চেপে রেখে তাকে হেয় ও কোণঠাসা করতে মরিয়া চেষ্টা চালানো হচ্ছিল, যার জেরে মানসিক চাপে ভেঙে পড়েন তিনি।
এখন প্রশ্ন উঠছে—একজন নির্যাতিতা যখন বিচার চায়, তখন কীভাবে গোটা একটি শিক্ষার্থী গোষ্ঠীকে ব্যবহার করে তাঁকে অপমান ও নিঃসঙ্গ করে দেওয়া হয়? এই ঘটনা শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়, গোটা সমাজের মানসিকতা নিয়েই বড় প্রশ্ন তুলে দিল।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us