নিজস্ব সংবাদদাতা: একদিকে আধুনিকতার স্বপ্ন, অন্যদিকে সমাজের গোঁড়ামির দমন। এই দ্বৈততার শিকার হলেন প্রাক্তন রাজ্যস্তরের টেনিস খেলোয়াড় রাধিকা যাদব। নিজের মেয়েকে খুন করলেন তাঁরই বাবা দীপক যাদব, শুধুমাত্র ‘লোকের কথা’ শুনে। এই মর্মান্তিক ঘটনার প্রেক্ষিতে ভারতীয় সমাজের সংকট ও দ্বিধা নিয়ে মুখ খুললেন প্রাক্তন আইপিএস অফিসার ও পুদুচেরির প্রাক্তন লেফটেন্যান্ট গভর্নর কিরণ বেদি।
রাধিকার জীবন ও মৃত্যুর চরম ট্র্যাজেডি তুলে ধরে কিরণ বেদি বলেন, ‘‘এটা সেই সমাজের প্রতিচ্ছবি, যেখানে আধুনিকতা ও গোঁড়ামি পাশাপাশি হাঁটে। একদিকে বাবা মেয়েকে টেনিস খেলতে দেয়, সারা দেশে ঘুরে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ দেয়, অথচ অন্যদিকে তাঁকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়, তাঁর প্রতিটি পদক্ষেপের উপর চোখ রাখতে চায়।’’
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/03/08/9VLQzQbwxND6QcddhH1n.JPG)
ঘটনাটি ঘটেছে ১০ জুলাই। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দীপক যাদব তাঁর মেয়ে রাধিকাকে গুলি করে হত্যা করেন। কারণ? তিনি নাকি সমাজের লোকেদের কটুক্তি সহ্য করতে পারছিলেন না— লোকেরা তাঁকে বলত, তিনি মেয়ের উপার্জনে বাঁচছেন! আরও অভিযোগ, দীপক যাদব মেয়েকে বারবার বলেছিলেন টেনিস অ্যাকাডেমি না চালাতে। কিন্তু রাধিকা থেমে যাননি। তার চূড়ান্ত মূল্য দিতে হল তাঁকে— নিজের বাবার হাতে প্রাণ হারিয়ে।
কিরণ বেদি বলেন, “এই ঘটনাটি স্পষ্ট করে দেয়, আজও আমাদের সমাজ কতটা পশ্চাৎপদ। বাইরে থেকে যতই ‘প্রগতিশীল’ ভাব দেখানো হোক না কেন, ভিতরে গোঁড়ামি বাসা বেঁধে আছে।”
আধুনিকতা না গোঁড়ামি? রাধিকার মৃত্যুই আসল উত্তর! কিরণ বেদির কণ্ঠে সমাজের গভীর সংকট
রাধিকা যাদবের হত্যা নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন কিরণ বেদি।
নিজস্ব সংবাদদাতা: একদিকে আধুনিকতার স্বপ্ন, অন্যদিকে সমাজের গোঁড়ামির দমন। এই দ্বৈততার শিকার হলেন প্রাক্তন রাজ্যস্তরের টেনিস খেলোয়াড় রাধিকা যাদব। নিজের মেয়েকে খুন করলেন তাঁরই বাবা দীপক যাদব, শুধুমাত্র ‘লোকের কথা’ শুনে। এই মর্মান্তিক ঘটনার প্রেক্ষিতে ভারতীয় সমাজের সংকট ও দ্বিধা নিয়ে মুখ খুললেন প্রাক্তন আইপিএস অফিসার ও পুদুচেরির প্রাক্তন লেফটেন্যান্ট গভর্নর কিরণ বেদি।
রাধিকার জীবন ও মৃত্যুর চরম ট্র্যাজেডি তুলে ধরে কিরণ বেদি বলেন, ‘‘এটা সেই সমাজের প্রতিচ্ছবি, যেখানে আধুনিকতা ও গোঁড়ামি পাশাপাশি হাঁটে। একদিকে বাবা মেয়েকে টেনিস খেলতে দেয়, সারা দেশে ঘুরে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ দেয়, অথচ অন্যদিকে তাঁকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়, তাঁর প্রতিটি পদক্ষেপের উপর চোখ রাখতে চায়।’’
ঘটনাটি ঘটেছে ১০ জুলাই। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দীপক যাদব তাঁর মেয়ে রাধিকাকে গুলি করে হত্যা করেন। কারণ? তিনি নাকি সমাজের লোকেদের কটুক্তি সহ্য করতে পারছিলেন না— লোকেরা তাঁকে বলত, তিনি মেয়ের উপার্জনে বাঁচছেন! আরও অভিযোগ, দীপক যাদব মেয়েকে বারবার বলেছিলেন টেনিস অ্যাকাডেমি না চালাতে। কিন্তু রাধিকা থেমে যাননি। তার চূড়ান্ত মূল্য দিতে হল তাঁকে— নিজের বাবার হাতে প্রাণ হারিয়ে।
কিরণ বেদি বলেন, “এই ঘটনাটি স্পষ্ট করে দেয়, আজও আমাদের সমাজ কতটা পশ্চাৎপদ। বাইরে থেকে যতই ‘প্রগতিশীল’ ভাব দেখানো হোক না কেন, ভিতরে গোঁড়ামি বাসা বেঁধে আছে।”