‘কেরলের শিশুদের ভবিষ্যৎ কেড়ে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী!’— BJP সভাপতির বিস্ফোরক মন্তব্যে চাঞ্চল্য

কেরলের মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন কেরলের সাংসদ রাজীব চন্দ্রশেখর।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
rajeev chandrasekhare1.jpg

নিজস্ব সংবাদদাতা: কেরলের রাজনীতিতে ফের তপ্ত বিতর্ক! বিজেপি রাজ্য সভাপতি রাজীব চন্দ্রশেখর তীব্র আক্রমণ শানালেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন এবং রাজ্যের বাম সরকারকে। তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকারের জাতীয় শিক্ষানীতি (NEP) গত দশ বছর ধরে ইচ্ছাকৃতভাবে আটকে রেখেছে কেরলের কমিউনিস্ট সরকার, যার ফলে হাজার হাজার মালয়ালি ছাত্রছাত্রী থেকে বঞ্চিত হয়েছে সুযোগ ও ন্যায্যতা।

রাজীব চন্দ্রশেখর বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে পাস হওয়া জাতীয় শিক্ষানীতি ভারতের তরুণ প্রজন্মের জন্য এক রূপান্তরমূলক পদক্ষেপ। এটি কেরলের যুবসমাজকেও নতুন দিশা দেখাতে পারত। কিন্তু কমিউনিস্ট সরকার গত এক দশক ধরে সেটি বাস্তবায়ন না করে শিক্ষাক্ষেত্রের উন্নয়ন আটকে রেখেছে।”

তিনি আরও বলেন, “এখন যখন নির্বাচন সামনে, তখনই হঠাৎ কেরল সরকার বলছে—PM SHRI স্কুল চালু করতে হবে, জাতীয় শিক্ষানীতি প্রয়োগ করতে হবে! কিন্তু এতদিন কী করছিলেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন? কেন ১০ বছর ধরে কেরলের ছাত্রদের ভবিষ্যৎ বন্ধ করে রাখা হল?”

বিজেপি নেতার দাবি, কেরলে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য—এই দুই ক্ষেত্রেই চরম ব্যর্থতার ছবি স্পষ্ট। তাঁর কথায়, “আজ এই দুই বিষয়ই নির্বাচনের বড় ইস্যু হতে চলেছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান—সব ক্ষেত্রেই কমিউনিস্ট সরকার ব্যর্থ। এখন ভোটের আগে হঠাৎ সক্রিয় হওয়ার মানে একটাই—জনরোষ কমানোর চেষ্টা।”

pinrai bijayan.JPG

রাজীব চন্দ্রশেখর আরও এক ধাপ এগিয়ে বলেন, “গত ১০ বছরে পিনারাই বিজয়ন কেরলের শিশুদের থেকে ন্যায্য সুযোগ কেড়ে নিয়েছেন। এটি কেবল প্রশাসনিক ব্যর্থতা নয়, এটি একপ্রকার অপরাধ—কেরলের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সঙ্গে করা অপরাধ।”

রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, যদি জাতীয় শিক্ষানীতি কার্যকর করা হত, তবে কেরলের ছাত্ররা প্রযুক্তি, গবেষণা ও উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে সারা দেশের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারত। কিন্তু রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সরকার সেই সুযোগ আটকে রেখেছে।

বাম সরকার এখনও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেয়নি, তবে রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা—শিক্ষাক্ষেত্রে এই নয়া বিতর্ক কেরলের ভোট-যুদ্ধে বড় ভূমিকা নিতে পারে।