নিজস্ব সংবাদদাতা: পাহাড়ের কোলে যুদ্ধের আশঙ্কা স্পষ্ট। সীমান্তবর্তী এলাকা জুড়ে চাপা উত্তেজনা। বাড়ছে সেনা মোতায়েন, ভারী বুটের আওয়াজে কেঁপে উঠছে গ্রামগুলো। পাক নিয়ন্ত্রণাধীন গ্রামের বাসিন্দাদের চোখে-মুখে আতঙ্ক। বহুদিন পর আবার বাঙ্কার পরিষ্কার করে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছেন তাঁরা।
কারমার্হা গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, "আমরা বাঙ্কারের কথা প্রায় ভুলেই গিয়েছিলাম। এখন আবার নতুন করে সেগুলো পরিষ্কার করছি। উপত্যকায় যুদ্ধের আবহ তৈরি হয়েছে।"
এই বাঙ্কারগুলিকে স্থানীয়রা ‘মোদি বাঙ্কার’ বলে ডাকেন। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে মোদি সরকার নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য হাজার হাজার বাঙ্কার তৈরি করেছিল। সরকারি সহায়তায় ২০২১ সালে প্রায় ৮ হাজার বাঙ্কার নির্মাণ হয়। জম্মু, সাম্বা, পুঞ্চ ও রাজৌরির মতো এলাকা মিলিয়ে ১৪ হাজারেরও বেশি বাঙ্কার তৈরির অনুমোদন দেওয়া হয়।
/anm-bengali/media/media_files/7lpdLQAjDidkB06YoQ7H.jpg)
এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, "আমাদের গ্রাম এলওসির একেবারে কাছে। যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হলে পরিবারের সুরক্ষা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ।" অন্যজন যোগ করেন, "সরকার ও সেনার পাশে আছি। জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। প্রয়োজনে প্রাণ দিতেও প্রস্তুত।"
পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ হামলায় ২৬ জনের মৃত্যুর পর দেশজুড়ে প্রতিশোধের আগুন ছড়িয়েছে। রবিবার ‘মন কি বাত’-এ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, "প্রত্যেক ভারতবাসীর রক্ত ফুটছে।" পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক কূটনৈতিক পদক্ষেপও নিয়েছে ভারত। কাশ্মীরবাসীও সরকারের পাশে থেকে সুরক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। পর্যটকদের উপর হামলা কোনওভাবেই মেনে নিতে নারাজ তাঁরা। তাঁদের সাফ বার্তা — "চলুক কঠিন পদক্ষেপ, প্রয়োজনে জীবন দেব, কিন্তু মাথা নত করব না।"
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us