গল্পটা কি আত্মহত্যার, নাকি এর পিছনে লুকিয়ে আছে অন্য রহস্য? জঙ্গলে উদ্ধার তরুণীর নিথর দেহ, তদন্তে চাঞ্চল্যকর মোড়

কর্ণাটকের জঙ্গলে এক মহিলার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
dead body 3.jpg

নিজস্ব সংবাদদাতা: কর্ণাটকের চিক্কাবল্লাপুর জেলার আদিভিকোত্তুর অরণ্যে এক তরুণীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত তরুণীর বয়স আনুমানিক ২৫ বছর। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, তিন থেকে চার দিন আগে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।

ঘটনাস্থল ঘিরে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পাতাপাল্যা থানার পুলিশ। ফরেনসিক দল এবং অপরাধ দমন শাখা ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রমাণ সংগ্রহ করেছে। চিক্কাবল্লাপুরের পুলিশ সুপার সংবাদমাধ্যমকে জানান, “ঘটনাটি আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। এমন কিছু প্রমাণ আমাদের হাতে এসেছে, যা তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে। জানা গিয়েছে, প্রেমিকের সঙ্গে তীব্র ঝগড়ার পরেই ওই তরুণী আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন। একটি দড়ি দিয়ে গাছে ঝুলে পড়েন। আমরা ইতিমধ্যেই তাঁর প্রেমিকের পরিচয় শনাক্ত করেছি। তদন্ত চলছে।”

hand-dead-victim-woman-covered-600nw-
ফাইল চিত্র

ঘটনার প্রকৃত কারণ জানার জন্য তরুণীর ফোন, চ্যাট, মেসেজ এবং গত কয়েক দিনের গতিবিধি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মৃত্যুর সঙ্গে প্রেমিক বা অন্য কারও প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভূমিকা ছিল কিনা, সে দিকেও নজর রাখছে পুলিশ।

এই ঘটনার ছায়া পড়েছে এক অনুরূপ ঘটনা ঘিরেও, যা গত মার্চ মাসে কেরালার কাসারগোড় জেলায় ঘটেছিল। সেখানেও এক ১৫ বছরের কিশোরী এবং ৪২ বছরের এক ব্যক্তি একসঙ্গে নিখোঁজ হওয়ার পর, তাঁদের দেহ একটি অরণ্য এলাকায় গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়।

মানসিক অবসাদ, সম্পর্কের টানাপোড়েন এবং সামাজিক চাপ—এই সব কিছুর প্রভাবেই কি এমন আত্মঘাতী পরিণতি? পুলিশের পাশাপাশি সমাজকেও এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হবে, এমনটাই মত সমাজকর্মীদের।