ভাঙনের মুখে কর্নাটক কংগ্রেস? সিদ্দারামাইয়া বনাম শিবকুমারের লড়াই চরমে

কর্নাটক কংগ্রেসে চরম অস্থিরতা। মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া ও উপমুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমারের ক্ষমতার লড়াই ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে। নেতৃত্ব বদলের সম্ভাবনায় দলীয় বৈঠক, মন্ত্রিসভার দৌড়ে বহু বিধায়ক।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
karnataka cm.jpg

নিজস্ব সংবাদদাতা: কর্নাটকের রাজনীতিতে ফের তীব্র অস্থিরতা। রাজ্যের শাসকদল কংগ্রেসের অন্দরে ক্ষমতার লড়াই এখন প্রকাশ্য। মুখ্যমন্ত্রী  সিদ্দারামাইয়া এবং উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার-এর মধ্যে টানাপোড়েন চরমে পৌঁছেছে বলেই রাজনৈতিক মহলের মত। এই আবহেই নিজের অনুগামী বিধায়কদের নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই বৈঠকে মূল আলোচনার বিষয় ছিল—যদি দলের হাই কমান্ড নেতৃত্ব বদলের সিদ্ধান্ত নেয়, তবে কোন পথে এগোনো হবে।

সূত্রের খবর, বৈঠকে সিদ্দারামাইয়ার ঘনিষ্ঠেরা স্পষ্ট ভাবে জানান, হঠাৎ নেতৃত্ব বদলের সিদ্ধান্ত এলে তাঁরা রাজনৈতিক ভাবে কীভাবে পরিস্থিতি সামলাবেন, তার জন্য আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে, শিবকুমার শিবিরও নাকি একই ভাবে নিজেদের শক্তি বাড়াতে মাঠে নামছে। ফলে কংগ্রেসের অন্দরে এখন কার্যত দুই শিবির মুখোমুখি অবস্থানে।

এই পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে মন্ত্রিসভার রদবদলের সম্ভাবনা। দলীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, একাধিক বিধায়ক এই সুযোগকে কাজে লাগাতে তৎপর হয়ে উঠেছেন। মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রীর দ্বন্দ্বের সুযোগ নিয়ে তাঁরা নতুন করে মন্ত্রিসভায় জায়গা পাওয়ার জন্য দিল্লির দরবারে তদবির শুরু করেছেন। কেউ কেউ আবার প্রকাশ্যেই নিজেদের দাবির কথা জানাতে শুরু করেছেন।

DFGHVJBKNLM;,

এই টানাপোড়েনের মাঝেই এক মন্ত্রীর মন্তব্য নতুন করে আগুনে ঘি ঢেলেছে। তিনি বলেন, “আমি তো শুধু একজন বিধায়ক আর মন্ত্রী। আমি হাই কমান্ড নই। আমি কংগ্রেসের সর্বোচ্চ নেতৃত্বও নই। যাঁরা এই বিষয়গুলো ঠিক করেন, তাঁদের কাছেই প্রশ্ন করুন।” এই বক্তব্য স্পষ্ট করেই বুঝিয়ে দিচ্ছে, কর্নাটক কংগ্রেসে সিদ্ধান্তহীনতা এবং অনিশ্চয়তা কতটা গভীরে পৌঁছেছে।

দলের অন্দরের এই দ্বন্দ্ব এখন আর গোপন নেই। মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রীর শিবির নিজেদের মতো করে শক্তি বাড়াচ্ছে, বিধায়করা নিজেদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে ঘুঁটি সাজাচ্ছেন, আর হাই কমান্ডের দিকে তাকিয়ে গোটা রাজ্য রাজনীতি এখন কার্যত থমকে রয়েছে। প্রশ্ন একটাই—শেষ পর্যন্ত কংগ্রেস কি কর্নাটকে নেতৃত্ব বদলের পথে হাঁটবে, নাকি বর্তমান দ্বৈত শীর্ষ নেতৃত্বের টানাপোড়েন সামলে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করবে?