/anm-bengali/media/media_files/2025/04/28/n7bMV3cL0trIE1fdhSDG.jpeg)
নিজস্ব সংবাদদাতা: কাশ্মীরের প্রশাসনে নড়াচড়া শুরু! শ্রীনগরের সরকারি মেডিকেল কলেজ (GMC Srinagar) এবং সংশ্লিষ্ট হাসপাতালগুলিতে হঠাৎই জারি হল কড়া নির্দেশ। কারণ? সম্প্রতি একাধিক চিকিৎসক ও কর্মীর মধ্যে ‘র্যাডিকালাইজেশন’-এর অভিযোগ ঘিরে উঠে এসেছে উদ্বেগজনক তথ্য।
এবার তাই হাসপাতাল-ক্যাম্পাস জুড়ে চলছে কঠোর তল্লাশি ও যাচাই অভিযান।
সরকারি সার্কুলারে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে— ১৪ নভেম্বর, ২০২৫-এর মধ্যে GMC-এর অধীন সব লকার বা আলমারি-তে মালিকের নাম, পদবি ও কোড নম্বর স্পষ্টভাবে লিখতে হবে। এই নির্দেশ প্রযোজ্য হবে GMC-র সব বিভাগে— যেমন SMHS হাসপাতাল, টিচিং ও প্রশাসনিক ব্লক— সব জায়গায়।
প্রশাসনের দাবি, কলেজ ও হাসপাতাল প্রাঙ্গণে বহু লকার আজও অচেনা বা ভুলভাবে চিহ্নিত অবস্থায় পড়ে আছে। এতে শুধু নিরাপত্তাই নয়, জায়গার ব্যবহার ও দায়বদ্ধতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। তাই প্রশাসন এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, নির্দিষ্ট সময়সীমার পর যেসব লকারের মালিক চিহ্নিত হবে না, সেগুলো খুলে ফেলা হবে এবং পরবর্তীতে কোনো দাবি গ্রহণ করা হবে না।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/11/11/doctor-locker-room-2025-11-11-18-32-48.png)
এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আরও কড়া শর্ত— যেসব কর্মী বা চিকিৎসক নিজের লকার সঠিকভাবে যাচাই বা হস্তান্তর করবেন না, তাঁদের LPC (Last Pay Certificate), NOC (No Objection Certificate) বা Service Book ইস্যু করা হবে না। অর্থাৎ সরকারি নথি বা চাকরি সংক্রান্ত প্রক্রিয়ায়ও পড়বে প্রভাব।
সূত্র বলছে, এই পদক্ষেপের পেছনে মূল লক্ষ্য হল প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা জোরদার করা। কিছুদিন আগেই পেশাদার মহলে ‘র্যাডিকাল চিন্তাধারা ছড়ানোর আশঙ্কা’ ঘিরে আলোড়ন তৈরি হয়েছিল। সেই কারণেই এখন চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলিতে একের পর এক কড়া নিয়ম কার্যকর করছে প্রশাসন।
চিকিৎসক মহলের একাংশ বলছেন, “এটা কেবল নিরাপত্তার প্রশ্ন নয়, বরং প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি রক্ষার দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ।” তবে কেউ কেউ মনে করছেন, অতিরিক্ত কড়াকড়ি হয়তো অপ্রয়োজনীয় আতঙ্ক তৈরি করতে পারে।
সব মিলিয়ে, শ্রীনগরের মেডিকেল মহলে এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু একটাই— “১৪ নভেম্বরের আগে লকার খুলে দাও, নয়তো বিপদ আসন্ন!”
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us