/anm-bengali/media/media_files/2025/06/29/indore-traffic-jam-2025-06-29-21-35-14.jpg)
নিজস্ব সংবাদদাতা: মাত্র ৩০ ঘণ্টার ব্যবধানে মৃত্যু হল অন্তত তিনজনের! ইন্দোর-দেওয়াস হাইওয়েতে বিশাল যানজটে আটকে পড়েই প্রাণ হারালেন তাঁরা। প্রায় ৮ কিলোমিটার জুড়ে ভয়াবহ এই যানজট শুরু হয় বৃহস্পতিবার সন্ধেবেলা এবং তা টানা চলে শুক্রবার রাত পর্যন্ত। প্রশাসনের হুঁশ ফিরলেও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে।
প্রায় চার হাজারেরও বেশি গাড়ি একসঙ্গে আটকে পড়ে এই দীর্ঘ পথজুড়ে। ট্রাক, প্রাইভেট গাড়ি, বাস, অ্যাম্বুলেন্স— সবকিছু থমকে যায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। প্রচণ্ড গরমে, খাবার ও পানীয় জল ছাড়াই গাড়ির ভিতর আটকে থাকা অসংখ্য মানুষ পড়েন চরম বিপদে। অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন, একাধিক গাড়িতে থাকা রোগীদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক হয়ে ওঠে।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/02/13/qx1Ew5zP7ESSqQP67G34.jpg)
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, যানজটে আটকে পড়ে এক বৃদ্ধ এবং এক মহিলার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়, তৎক্ষণাৎ চিকিৎসা না পাওয়ায় তাঁদের মৃত্যু হয়। আরও একজন মারা যান হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে, সময়মতো চিকিৎসা না মেলায়। এই ঘটনার পরেই তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে ইন্দোর প্রশাসন। রাস্তায় যানজট নিয়ন্ত্রণ, সংকটময় অবস্থায় ত্রাণ ব্যবস্থা, কিংবা ভিড় সামলাতে পুলিশের ভূমিকা— সব কিছু নিয়েই উঠছে একের পর এক প্রশ্ন।
এই ঘটনার পিছনে খারাপ ট্র্যাফিক ব্যবস্থাপনা, রাস্তায় সংস্কার কাজের সময় ভুল পরিকল্পনা, এবং অতিরিক্ত ভারী যান চলাচলকে দায়ী করেছেন পরিবহন বিশেষজ্ঞরা। এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ প্রশাসনের দিকেই তাকিয়ে — তারা জানতে চাইছে, বারবার এমন ভয়াবহ জট কেন? কেন আগে থেকে সতর্কতা নেওয়া হয়নি?
ইন্দোর প্রশাসন জানিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে এবং যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে নির্দিষ্ট পরিকল্পনার পথে হাঁটা হবে।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us