/anm-bengali/media/media_files/2025/08/03/missing-man-2025-08-03-21-18-47.jpg)
নিজস্ব সংবাদদাতা: ইন্ডিগো বিমানে মাঝ-আকাশে হেনস্থার শিকার হয়ে দু'দিন নিখোঁজ ছিলেন আসামের হুসেন আহমেদ মজুমদার। এবার একান্তভাবে মুখ খুললেন তিনি, কীভাবে ঘটনাটি ঘটল ও কোথায় ছিলেন সেই সময়—সবকিছুই জানালেন একটি সাক্ষাৎকারে।
৩২ বছর বয়সী হুসেন আহমেদ মজুমদার, যিনি আসামের কাছাড় জেলার বাসিন্দা, বৃহস্পতিবার মুম্বই থেকে শিলচরগামী বিমানে সফর করছিলেন। কলকাতা হয়ে গন্তব্যে যাওয়ার কথা ছিল। সেই সময় বিমানে আচমকাই তিনি প্যানিক অ্যাটাকে ভেঙে পড়েন, যার ফলে তিনি একপ্রকার ঘোরের মধ্যে চলে যান।
এই অবস্থায় দুই কেবিন ক্রু তাকে সহায়তা করে বিমান থেকে নামাতে চাইলেও, এক সহযাত্রী হাফিজুল রহমান হঠাৎই তাকে চড় মারেন। এই হেনস্থার জেরে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে।
বিমান কলকাতায় অবতরণের পর অভিযুক্ত হাফিজুলকে আটক করে পুলিশে তুলে দেওয়া হয়। পরে অবশ্য তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। অন্যদিকে, হুসেনকে কলকাতা বিমানবন্দরেই নামিয়ে দেওয়া হয়। এরপরই তিনি নিখোঁজ হয়ে যান।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/08/02/assam-man-missing-2025-08-02-13-57-38.jpg)
হুসেন জানান, কলকাতায় নামার পর মানসিকভাবে তিনি এতটাই বিপর্যস্ত ছিলেন যে কিছুই বুঝতে পারছিলেন না। পরের দিন ছিল শুক্রবার, তিনি নামাজ পড়ার জন্য একটি মসজিদ খুঁজছিলেন শহরে। কিন্তু কাউকে তার পাশে পাননি।
তিনি বলেন, “আমি মুম্বই থেকে শিলচরের সরাসরি ফ্লাইটে ছিলাম। কিন্তু বিমানে যা ঘটল, তারপর আমাকে কলকাতা বিমানবন্দরে নামিয়ে দেওয়া হয়। এরপর আমি একাই শহরের রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম, শুধু একটা মসজিদ খুঁজছিলাম নামাজ পড়ার জন্য, কিন্তু কেউ সাহায্য করেনি।”
এই ঘটনার জেরে একদিকে বিমান পরিষেবায় যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, অন্যদিকে মানসিক স্বাস্থ্য ও ধর্মীয় সহনশীলতার বিষয়টিও সামনে এসেছে। গোটা ঘটনায় ইন্ডিগোর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন নেটিজেনদের একাংশ।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us