কেরলের ভিজিনজাম সমুদ্রবন্দর উদ্বোধন! ভারতের জলপথ বাণিজ্যে নতুন দিগন্তের সূচনা

কেরলের ভিজিনজাম সমুদ্রবন্দর উদ্বোধনে ভারতের জলপথ বাণিজ্যে নতুন দিগন্তের সূচনা হল।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
kerala sea port

নিজস্ব সংবাদদাতা: কেরলের তিরুঅনন্তপুরমে আজ উদ্বোধন হল  বহু প্রতীক্ষিত ভিজিনজাম সমুদ্রবন্দরের। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে এই গভীর জলের বন্দরের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়। এই প্রকল্পের দায়িত্বে রয়েছে ‘আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশ্যাল ইকোনমিক জোন প্রাইভেট লিমিটেড’।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিজিনজাম বন্দর ভারতের জলপথ মানচিত্রে এক নতুন দিশা আনতে চলেছে। এর মাধ্যমে ভারত আরও দৃঢ়ভাবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও কৌশলগত স্থানে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে পারবে।

kerala seaport

এই বন্দর ঘিরে ভারতের লাভ কী হতে পারে, এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক—

ভৌগোলিক অবস্থানের সুবিধা: ভিজিনজাম বন্দর একটি প্রাকৃতিক গভীর জলের বন্দর, যা বৃহৎ আন্তর্জাতিক জাহাজ চলাচলের উপযুক্ত। এটি আন্তর্জাতিক শিপিং রুটের খুব কাছেই অবস্থিত, ফলে এটি ট্রান্সশিপমেন্ট হাব হিসেবে গড়ে উঠতে পারে।

ঐতিহাসিক গুরুত্ব: প্রাচীনকাল থেকেই এই অঞ্চল বাণিজ্যের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। একসময় ত্রিবাঙ্কুর রাজ্যের বাণিজ্য এই বন্দর কেন্দ্র করেই চলত। গ্রিক, রোমান, আরব ও চীনা বণিকদের সঙ্গে কেরলের যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম ছিল এই বন্দর।

ঔপনিবেশিক যুগে প্রভাব: ব্রিটিশ, ডাচ এবং পর্তুগিজ বণিকদের কাছেও এই বন্দর ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেরলের মশলা ব্যবসার জন্য এই বন্দর ব্যবহার করত ইউরোপীয় শক্তিগুলি।

আধুনিক প্রভাব: ভারতের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে স্ট্র্যাটেজিক অবস্থান আরও জোরদার হবে এই বন্দরের মাধ্যমে। গভীর জলের বন্দরের সুবিধায় ভারী মালবাহী আন্তর্জাতিক জাহাজ সহজেই ভিড়তে পারবে।

ভিজিনজাম বন্দর কেবল একটি অবকাঠামো প্রকল্প নয়, এটি ভারতের সামুদ্রিক ক্ষমতা, বাণিজ্যিক কৌশল এবং ইতিহাসের এক মহৎ সংযোগস্থল হিসেবে উঠে আসতে চলেছে।