/anm-bengali/media/media_files/HAXcNCJLupncMrXRatlc.jpg)
নিজস্ব সংবাদদাতা: পণের জন্য নির্মম অত্যাচারের এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এল উত্তরপ্রদেশের কানপুর থেকে। বিয়ের মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই শ্বশুরবাড়ি থেকে ঘরছাড়া হতে হল এক নববধূকে। অভিযোগ, বুলেট মোটরবাইক বা ২ লক্ষ টাকা পণ হিসেবে না চাওয়ায় তাঁকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।
গত ২৯ নভেম্বর মুসলিম রীতিতে লুবনা ও মহম্মদ ইমরানের বিয়ে হয়। বিয়ের পর লুবনা শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছানোর কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর উপর শুরু হয় মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন। অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে বলেন, বুলেট বাইক না আনলে বাবা-মায়ের কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা এনে দিতে হবে। এমন কথাকাটাকাটির মধ্যেই শুরু হয় মারধর।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/q6exwykSOGSyCyW5KWcS.png)
সেদিন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ কাঁদতে কাঁদতে মেয়েকে বাড়িতে ফিরে আসতে দেখেন তাঁর মা মেহতাব। মেয়ের অবস্থা দেখে সব শুনে হতবাক হয়ে যান পরিবার। লুবনার অভিযোগ, তাঁকে মারধর করা হয়, তাঁর গায়ে থাকা গয়নাগাটি এবং সঙ্গে থাকা নগদ টাকাও কেড়ে নেওয়া হয়। এরপর তাঁকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয় টাকা এনে দেওয়ার হুমকি দিয়ে।
লুবনার পরিবার জানায়, মেয়ের বিয়েতে তারা লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করেছে। ইমরানের পরিবারের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী সোফাসেট, টেলিভিশন, ওয়াশিং মেশিন, ড্রেসিং টেবিল, ওয়াটার কুলার, ডিনার সেট, জামাকাপড়, স্টিল ও পিতলের বাসনপত্রও দেওয়া হয়েছিল। লুবনার মা জানান, বিয়ের আগে কখনও বুলেট বাইকের দাবি করা হয়নি। আগে জানালে এই বিয়ে তারা করতেন না বলেও জানান তিনি।
পরিবারের দাবি, এখন তারা কেবল ন্যায়বিচার চান এবং বিয়েতে খরচ করা টাকা ফেরত চান। এই ঘটনায় ইমরান এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us