/anm-bengali/media/media_files/2025/07/20/taminadu-wife-murder-2025-07-20-19-54-48.jpg)
নিজস্ব সংবাদদাতা: তামিলনাড়ুর করুর জেলায় এক চরম নৃশংস ঘটনা ঘটল রবিবার সকালে। স্বামীর হাতে খুন হলেন হাসপাতালে ভর্তি এক অচেতন যুবতী। শনিবার স্বামীর সঙ্গে বিবাদের জেরে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ২৭ বছর বয়সী শ্রুতি। রবিবার সকালে সেই অবস্থাতেই, হাসপাতালে ঢুকে তাঁকে তিনবার ছুরি মেরে হত্যা করে স্বামী বিষ্রুত। এরপর পালিয়ে যায় সে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্রুতি ও বিষ্রুত পট্টভারথি এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। তাদের দুটি সন্তান রয়েছে। পারিবারিক কলহে প্রায়শই অশান্তি লেগে থাকত। শনিবারও এক তীব্র ঝগড়া হয়, যার জেরে শ্রুতি আহত হন। তাঁকে স্থানীয় এক সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
কিন্তু রোববার সকালে যা ঘটেছে, তা গা শিউরে ওঠার মতো। হাসপাতালে অচেতন অবস্থায় শুয়ে থাকা স্ত্রীর কাছে পৌঁছেই বিষ্রুত আচমকাই ছুরি বের করে একের পর এক তিনবার আঘাত করে। রক্তাক্ত অবস্থায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় শ্রুতির। এই মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে অভিযুক্ত পালিয়ে যায়।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/y9SZ59I8PSFELBlkUKhL.jpg)
অন্যদিকে, একইভাবে চেন্নাইয়ের থিরুনিন্ন্রভুর এলাকায় আরও এক গৃহবধূর মর্মান্তিক মৃত্যু হয় স্বামীর হাতে। বিবাদের জেরে গোমাথি নামের এক যুবতীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে খুন করেন তাঁর স্বামী স্টিফেন রাজ। ঘটনায় স্ত্রীর মৃত্যু হয় ঘটনাস্থলেই। পরে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন স্টিফেন রাজ।
এই দুটি ঘটনায় চরম চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে স্থানীয় এলাকায়। প্রশ্ন উঠছে—একটি সরকারি হাসপাতালে, যেখানে রোগীদের নিরাপত্তা থাকা উচিত, সেখানে কীভাবে একজন ব্যক্তি অস্ত্র নিয়ে ঢুকে এমন নৃশংসতা ঘটাতে পারল? হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
এই ধরনের ঘটনায় আবারও উঠে আসছে গার্হস্থ্য হিংসার ভয়াবহ বাস্তবতা। পরিবারে অশান্তি ও মানসিক অস্থিরতা কীভাবে চূড়ান্ত সহিংসতায় পরিণত হচ্ছে, তা এই ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us