/anm-bengali/media/media_files/2025/09/04/husband-murder-wife-2025-09-04-14-15-56.jpg)
নিজস্ব সংবাদদাতা: মহারাষ্ট্রের ভিওয়ান্ডির ইদগাহ রোডের কসাইখানা ও ঝুপড়ি এলাকার কাছে বুধবার সকালে এক নারীর কাটা মাথা উদ্ধার করে পুলিশ। ভয়াবহ এই ঘটনায় শিহরিত গোটা এলাকা। প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসে, খুনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন মৃতার স্বামীই। শেষমেশ পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ভেঙে পড়ে সে।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত তরুণীর নাম পরভীন ওরফে মুসলিমা (২২)। মাত্র কয়েক মিটার দূরেই স্বামী মোহাম্মদ তাহা আনসারি ওরফে সোনু (২৫)-র সঙ্গে থাকতেন তিনি। উদ্ধার হওয়া মাথাটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় উপ-জেলা হাসপাতালে। মৃতার মা গিয়ে শনাক্ত করেন তাঁর মেয়েকে।
তদন্তকারীরা জানান, তাহা প্রথমে চুপ থাকলেও পরে স্বীকার করেছে, স্ত্রীর গলা কেটে হত্যা করে সে। শুধু তাই নয়, দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে আলাদা করে ফেলে এবং পরে ইদগাহ উপসাগরে ছুড়ে দেয়।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/AnAtspi9lEQ9Pr0nix97.jpg)
দুই বছর আগে পরভীনের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তাহার। পেশায় চালক তাহা। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে পরভীনের অশান্তি চলত। পরে তিনি এক বছরের ছেলেকে নিয়ে ইদগাহ উপসাগরের কাছে ভাড়া বাড়িতে আলাদা থাকতে শুরু করেন।
পুলিশ জানায়, ৩০ আগস্ট প্রথম মাথাটি উদ্ধার হয়। এর আগেই পরভীনের মা থানায় অভিযোগ করেছিলেন যে মেয়ে দুই দিন ধরে নিখোঁজ, ফোন বন্ধ, আর জামাই কোনো সহযোগিতা করছে না। তখন থেকেই সন্দেহের তালিকায় ওঠে তাহার নাম।
বর্তমানে তাহা গ্রেফতার। যদিও কেন এই নৃশংস খুন, তা নিয়ে এখনো পরিষ্কার তথ্য দেয়নি সে। তদন্তকারীরা বলছেন, তার দেওয়া জবানবন্দিতে বেশ কিছু অসঙ্গতি রয়েছে। হত্যার আসল কারণ খুঁজে বের করতে জেরা চলছে।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us