/anm-bengali/media/media_files/2025/10/11/haryana-ips-officer-2025-10-11-12-03-13.png)
নিজস্ব সংবাদদাতা: হারিয়ানার আইপিএস অফিসার ওয়াই. পুরণ কুমারের আত্মহত্যা ঘিরে নতুন বিস্ফোরণ। মৃত অফিসারের স্ত্রী, যিনি নিজেও একজন আইএএস অফিসার—অমনীৎ পি. কুমার—অভিযোগ করেছেন যে তাঁর স্বামীর মৃত্যু কোনো সাধারণ আত্মহত্যা নয়; বরং এটি দীর্ঘদিন ধরে চলা জাতিগত বৈষম্য ও নির্যাতনেরই ফল।
অমনীৎ তাঁর লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, “এটি সাধারণ আত্মহত্যার ঘটনা নয়। আমার স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে মানসিক নির্যাতন, হেনস্থা ও কর্মস্থলে সামাজিকভাবে অপমান করা হয়েছে, কারণ তিনি এসসি (অনূন্যতর জাতি) সম্প্রদায়ভুক্ত।” তিনি দাবি করেছেন, সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তারা পদমর্যাদার অপব্যবহার করে পুরণ কুমারকে নিয়মিতভাবে মানসিক চাপে রাখতেন, যার ফলে তিনি ভেঙে পড়েন এবং শেষ পর্যন্ত চরম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন।
এই অভিযোগ ঘিরে ইতিমধ্যেই প্রশাসনিক মহলে শুরু হয়েছে তীব্র আলোড়ন। চণ্ডীগড়ের আইজিপি-র নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (এসআইটি) গঠন করা হয়েছে, যারা ঘটনাটির প্রতিটি দিক বিস্তারিতভাবে তদন্ত করবে।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/y9SZ59I8PSFELBlkUKhL.jpg)
অন্যদিকে, বিরোধী দলগুলি এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাষ্ট্র সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছে। তাঁদের অভিযোগ, “একজন সৎ ও পরিশ্রমী দলিত আইপিএস অফিসারকে রক্ষা করতে সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।” বিজেপি পরিচালিত রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিরোধীরা অভিযোগ তুলেছে—সরকার সচেতনভাবেই বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চাইছে এবং অভিযুক্তদের এখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি।
এই মুহূর্তে তদন্তের মূল লক্ষ্য হলো, আত্মহত্যার পিছনে সত্যিই কর্মস্থল-জনিত হেনস্থা ও বৈষম্য ছিল কিনা। মৃত আইপিএস অফিসারের নথিপত্র, ফোন রেকর্ড এবং সহকর্মীদের বয়ান পরীক্ষা করছে তদন্ত দল।
ঘটনাটি ঘিরে দেশজুড়ে আলোচনা তীব্র। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন—ভারতের যোগ্য, কর্মঠ ও জাতিগতভাবে সংখ্যালঘু প্রশাসনিক কর্মকর্তারা কি এখনও নিরাপদ নন?
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us